যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি সিপিএ'র আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার ভিসা পেলেন একই পরিবারের ৯ সদস্য। কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের স্টামফোর্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের পরিবারকে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে তার গোটা পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার ভিসা প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন সিপিএ শ্রাবনী। তিনি কানেকটিকাটের প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লাইসেন্সড সিপিএ হিসেবে কাজ অরছেন।
ইমাম হোসেন তার পরিবারের অনেক আত্মীয় বহুদিন ধরেই যুক্ত্ররাষ্ট্র প্রবাসী। তার চাচা-মামাসহ পারিবারিক অনেক সদস্য কানেকটিকাটে বসবাস করেন। কিন্তু পরিবারের ৯ জন সদস্যের ভিসার জন্যে প্রয়োজনীয় আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা জোগাড় করতে অসুবিধা হচ্ছিল ইমামের। এইসব সমস্যার বিষয় জেনে ইমামের পরিবারকে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিতে রাজী হন শ্রাবনী। পৃথিবীর অন্যতম প্রধান 'বিগ ফোর' একাউন্টিং ফার্ম এর প্রাইভেট একুইটি এন্ড হেজ ফান্ড শাখার ট্যাক্স বিভাগে চাকরি করেন শ্রাবনী।
শ্রাবনী বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফার্ম এ চাকরি করতে কোনো অসুবিধা হয়না, কিন্তু সিপিএ হিসেবে নিজের কমিউনিটিতে ব্যবসা করতে গেলে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকি। আমি একজন সিঙ্গেল মাদার। নিজের সন্তান ছাড়াও আইনগত ভাবে আমি আরো ৯ জন ইমিগ্র্যান্টের অর্থনৈতিক দায়িত্ব বহন করার যোগ্যতা রাখি। এইভাবেই আমার বাবা মা আমাকে বড় করেছেন।
খুব স্বল্প একটি সময়ের জন্যে আমি কানেকটিকাট এ ব্যক্তিগত সমস্যায় পরে সমাধানের জন্যে সামাজিক সংগঠনের ওপর নির্ভর করেছিলাম। কোনোরকম সমাধান না বরং সেই সময় আমার সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলে আমার গতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন একটি সামাজিক সংগঠনের কতিপয় দুষ্কৃতি পরায়ন মুখোশধারী ব্যক্তি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমার গতিরোধ করতে ব্যর্থ হন সেইসব মুখোশধারী। একদিন আমি নিজেই অন্যের সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলাম আজ অন্যকে সাহায্য করতে পেরে নিজেকেই ধন্য মনে করছি।
গত ৫ বছর ধরে আমি কানেকটিকাটে থাকি। আজ পর্যন্ত কোনো রুচিহীন নাচ গান অনুষ্ঠান অপ্রস্তুত পরিবেশ, অহেতুক আড্ডা কোথাও কেউ আমাকে দেখেনি এবং দেখবেনা। - সবার রুচিবোধ তো এক না। কানেকটিকাটের বহু মিউজিয়াম, লাইব্রেরি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেবামূলক কর্মসূচির সাথে আমি ও আমার ছেলে সম্পৃক্ত। আল্লাহর ওপর ভরসা করে একক প্রচেষ্টায় ব্যক্তিত্ব, মেধা ও যোগ্যতাকে সম্বল করেই তিনি এতো দূর পর্যন্ত এসেছেন বলে উল্লেখ করেন শ্রাবনী। কানেকটিকাটের ওয়েস্ট হার্টফোর্ড ছেলেকে নিয়ে থাকেন শ্রাবনী। নিজের চাকরি ছাড়াও কানেকটিকাটের বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন তিনি। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের কিছু বাংলাদেশি সিপিএ কিংবা ট্যাক্স প্রিপেয়ারার কাজ করলেও শ্রাবনী কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের বোর্ডের রেজিস্ট্রেশান প্রাপ্ত প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি সিপিএ। এর আগে বা বর্তমানে অন্য কোনো বাংলাদেশি সিপিএ কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে লাইসেন্স নিয়েছিলেন কিনা এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
কানেকটিকাট ছাড়াও শ্রাবনীর নিউ ইয়র্ক এবং ফ্লোরিডার সিপিএ লাইসেন্সও আছে বলে জানান, তিনি। প্রতিবছর অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে কিংবা সম্পূর্ণ বিনা খরচে ট্যাক্স রিটার্ন করার ব্যাপারে সেবামূলক সহায়তা দান করেন সিপিএ শ্রাবনী।