নিউ ইয়র্ক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেন তৃতীয়বারের মতো অদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিউ ইয়র্কের কুইন্স ফৌজদারি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ইউজিন এম গুয়ারিনো তাকে জামিনের আদেশ দেন। একই সময় তার বিরুদ্ধে ২টি যোগাযোগ মাধ্যমে মামলার বাদীকে উত্তেজিত হয়রানি ও জবরদস্তি: ভীতি সৃষ্টি/প্রপ ইনজুরি ২টি অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ইলিয়াস হোসেন। গত রোববার নিউ ইয়র্কের অদূরে একটি দ্বীপ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন নিউ ইয়র্ক পুলিশ। করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জ্যামাইকার ১১৩ প্রেসেন্ট হাজতে রাখা হয় ইলিয়াসকে। আজ সোমবার সকালে ইলিয়াসকে জামিনের জন্য আদালতে হাজির করা হয়।
নিউ ইয়র্কের কুইন্স ফৌজদারি আদালতে সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে পিএল ২৪০.৩০ ০১ বাদীকে আক্রমণাত্মক হয়রানি ও পিএল ১১০-১৩৫.৬৫ ০১ জবরদস্তি: ভীতি সৃষ্টি/প্রপ ইনজুরি ধারায় ২টি অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে আদালতে ইলিয়াস হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে বিচারক তাকে জামিনের আদেশ দেন। উপরোক্ত ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে আইনজীবিরা ধারণা করছেন।
সম্প্রতি মামলার বাদীর বাড়িতে বোমা হামলার হুমকিসহ আদালত অবমাননার অভিযোগে ইলিয়াসের নামে হুলিয়া (পলাতক আসামিকে হাজিরের নোটিশ) জারি করে পুলিশ। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মিল্টন জ্যাকব ও প্রিমা রব্বনীর করা মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাকে আটক করা হয়। তবে ছেড়ে দেওয়া হয় ছয় ঘণ্টা পর। ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। নিউ ইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ইলিয়াসকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাড়ির দরজা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘ধরিয়ে দিন’ পোস্টার লাগায়।ৎ
অভিযোগ রয়েছে, ২০ জানুয়ারি দুপুরে মামলার বাদী মিল্টন জ্যাকবকে ফোন করে তার বাড়িতে বোমা নিয়ে আসবেন বলে হুমকি দেন ইলিয়াস। জ্যাকব মিল্টন ও প্রিমা রব্বনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করেন ইলিয়াস, যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। তবে ভিডিওটি মানহানিকর ও ভিত্তিহীন দাবি করে সিভিল ও ক্রিমিনাল আইনে ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিল্টন ও প্রিমা রব্বনী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।