ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের লেমুয়ার বুকচিরে প্রবাহমান কালিদাশ পাহালিয়া নদীর তীব্র ভাঙ্গনের স্বীকার নেয়ামতপুরের মনির উদ্দিন ভুঁইয়া বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি বাড়ীর বাসিন্দাদের পরিবার। তারা দাবী করেন ত্রান সামগ্রী নয় আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
এই এলাকার মানুষ এখন চরম উৎকন্ঠায় বসবাস করচে। পাহাড়ি বন্যায় নদী গর্ভে বিলীন প্রায় আধা শতাংশ নদীর পাড়।আরেকটু ভাঙ্গলেই ঘর ভেঙে পড়বে আবুল কালাম মিয়ার। প্রতিনিয়ত পানি উন্নয়ন বোর্ড, ইউএনও অফিস,জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিজেদের বাড়ি ঘর রক্ষার্থে স্মারকলিপি দিয়েছেন।এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আবুল কালাম নিজে সাক্ষরিত স্মারক লিপি দিয়েছেন ৩ টি স্থানেই।শুধু আবুল কালাম ই নয়,এই এলাকার প্রতিটি মানুষ নদীর পাড় ভাঙ্গার নিদারুণ কস্ট উপলব্ধি করচেন।গেল ৯ বছর পূর্বে একবার পাড়টি পাথরের স্লোপ দিয়ে ঠিক করার পর দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ছিল।কিন্তু বন্যার বানের পানিতে স্লোপের অস্তিত্ব ও বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান' বন্যায় আমাদের কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা উক্ত স্থান সমূহে স্বল্প ও স্থায়ী দুইটি প্রকল্প গ্রহন করেছি।ঠিকাদার কাজ ধরবে শীঘ্রই।
এছাড়াও দক্ষিন চাঁদপুরের জলদাস বাড়ীর পাড় ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে শতবছরের ইটের সলিং রাস্তা। এ রাস্তাটি পাড় ধরে ঘেষা দুইজন জলদাসের ঘর সম্পূর্ন ভেঙ্গে তলিয়ে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত স্থানেও স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পাথর বসানো ও সংস্করের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়। বাঁধ নির্মাণের দাবীতে নিজ গায়ে ত্রান নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চাই লিখে নদীতে অবস্থান করছে এক যুবক।
ভাঙ্গন প্রতিরোধের বিষয়ে একাধিক দায়িত্বশীল জানান, লেমুয়াতে ভাঙ্গন প্রতিরোধ এবং রাস্তা সংস্করণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও কে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কে আদলা ও রাবিশ দেওয়া হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের ঠিকাদারকে ইস্টিমেট করতে বলেছেন। তারা শীঘ্রই কাজ আরম্ভ করবে।বর্তমানে বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে প্রারম্ভিক কাজ শুরু করবেন।
এ বিষয়ে আবুল কালাম মিয়া জানান, আমার ঘরের পাড় ভাঙ্গতে আর ৩ ফুটও বাকি নেই।ইতিমধ্যে আমরা বাঁশ গেড়ে দিয়েছি। আজ ১ ট্রাক বস্তুা এসেছে বলে জানি।বিকালে বালু ফেলবে। আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানই এখন আমাদের সকলের দাবি।
স্থানীয় সাংবাদিক কামরুল হাসান নিরব জানান ছোট থেকেই বাঁধভাঙা,নদী গর্ভে বাড়ি বিলীন হওয়ার শব্দ শুনেচে তাদের এলাকার অনেকেই।
অনেকেই নদীর ক্ষুধা মেটাতে নিজের জায়গা দিয়ে অন্যত্র নতুন বাড়ি নির্মান করেছে।নিজের দাদার পৈত্রিক সম্পদ ও ছিল ওই বাড়িতে।নদী ভাঙার এই নির্মম কস্ট আর কান্নার সুর আর সহ্য করার মত নয় বলে জানান। ত্রান নয় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ চান এলাকাবাসী ।