ই-পেপার বাংলা কনভার্টার রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
ই-পেপার রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ: পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন ড. ইউনূস       দ্রুত সময়ের মধ্যে গুম খুনের আসামি হাসিনার বিচার করতে হবে : মামুনুল হক      নওগাঁয় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু       কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস      বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়লো ২০২৪      ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান      পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশের লুটকৃত অস্ত্র উদ্ধার      




উৎপাদন বাড়লেও চিংড়ি রপ্তানিতে ভাটা
বায়েজীদ মুন্সী
Published : Wednesday, 14 August, 2024 at 11:55 AM
বিশ্ববাজারে ক্রমেই বাড়ছে চিংড়ির চাহিদা। ইকুয়েডর, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর রপ্তানি ক্রমাগত বাড়লেও পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ তথ্যানুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় এবার চিংড়ি খাত থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ২৬ শতাংশ। যা চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই আরেকটি বড় সমস্যা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাড়াতে চিংড়ি উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষির মতো এই খাতেও ভর্তুকি দেয়ার কথা বলছেন তারা।

সরকারের মৎস্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, উন্মুক্ত জলাশয় (নদী, সুন্দরবন, কাপ্তাই লেক, বিল ও প্লাবনভূমি), চাষকৃত জলাশয় (পুকুর, মৌসুমি জলাশয়, বাওড়, চিংড়ির খামার ও পেন কালচার) এবং সামুদ্রিক জলাশয় থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট চিংড়ি উৎপাদন হয় ২ লাখ ৭১ হাজার ৩০২ মেট্রিকটন। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৫৪ মেট্রিকটন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৪ মেট্রিকটন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ লাখ ৪১ হাজার ২৮১ মেট্রিকটন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৫ মেট্রিকটন। অর্থাৎ পাঁচ বছরে উৎপাদন বেড়েছে ৩১ হাজার ৪৪৭ মেট্রিকটন।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের তথ্যানুযায়ী, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই চিংড়ি রপ্তানি কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চিংড়ি খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম। সংস্থাটি জানায়, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক চিংড়ির বাজার ইকুয়েডর ও ভারতের দখলে। দেশ দুটি যথাক্রমে বৈশ্বিক চাহিদার ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের দখল কমে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে হ্যাচারির মালিকদের সংগঠন শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, চিংড়ি খাতের উন্নয়নে বিদেশ হতে গ্রিন ফান্ডের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ছাড়া ভরাট খালগুলো খনন করে পানির প্রবাহ সচল রাখতে হবে। মহেশখালী এলাকায় জেগে ওঠা চরগুলো চিংড়ি চাষের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, চিংড়ি দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য হওয়া সত্ত্বেও এই খাতে সংশ্লিষ্টরা কৃষির মতো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। কৃষির মতো এ খাতেও ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে হবে। ভেন্নামি চিংড়ির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারত ভেন্নামি চিংড়ি চাষ করে যদি এগিয়ে যেতে পারে তাহলে আমরা পারছি না কেন? পণ্যের ব্রান্ডিং করার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। 

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) পরিচালক এস হুমায়ুন কবির বলেন, কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা চিংড়ির যথাযথ মূল্য পাচ্ছি না। 

ফলে দেশের চিংড়িচাষিরা উৎপাদন খরচ ওঠাতে পারছেন না। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে ভেনামি চিংড়ির চাহিদা ৭৮ শতাংশ। সেখানে বাগদা চিংড়ির বাজার ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে দেশে প্রতি হেক্টর জমিতে বাগদা ৩৫০-৪৫০ কেজি ও গলদা ৪৫০-৫০০ কেজি উৎপাদন হয়। সেখানে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রতি হেক্টর জমিতে ভেনামি চিংড়ি ১ হাজার ১০০-১ হাজার ২০০ কেজি উৎপাদন করছে।

চিংড়িতে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, কৃষি জমিতে লবণাক্ততার প্রবেশের ফলে জমির মালিকরা এখাতে জমি ইজারা দিতে চান না। এছাড়া দেশীয় বাজারে চিংড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে চিংড়ির রপ্তানি কিছুটা কমে গেছে। তবে চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন তৈরি করার প্রচেষ্টা চলছে। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক আয় বাড়ানোর জন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভেন্নামি চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। 







সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]