ই-পেপার বাংলা কনভার্টার মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১ আশ্বিন ১৪৩১
ই-পেপার মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র      ঢাকা কলেজের শঙ্খনীল বাস ভাঙল আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা      সৈকতে ভেসে এলো আরও এক জেলের দেহ      সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে সাফি ৪ দিনের রিমান্ডে      




রাজউক থেকে সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ নিয়ে চরম বেকায়দায় প্রভাবশালীরা
সাইদুল ইসলাম
Published : Saturday, 7 September, 2024 at 11:55 AM
দশ বছর ধরে সাধারণ মানুষের জন্য প্লট বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এরপরও সংরক্ষিত কোটায় অন্তত ২৯০ বিশেষ ব্যাক্তিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই রয়েছেন গত আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী সংসদ সদস্য। এছাড়া, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদরাও রয়েছে। রয়েছেন সাবেক স্পিকার, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি, অভিনেতা, প্রযোজক, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী। অথচ পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্তরা প্লট বরাদ্দ পায়নি। ফলে বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই ধারাবহিকতায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বরাদ্দপ্তদের তালিকা করছে রাজউক। এতে রাজউক থেকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছে প্রভাবশালীরা। 

*বরাদ্দ পায় গত সরকারের সাংসদ বিচারপতি রাজনীতিবিদ ব্যবসায়ী অভিনেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা, বঞ্চিত করা হয় ক্ষতিগ্রস্তদের
*মোট প্লটের সংখ্যা ২৬ হাজার ২১৩, সংরক্ষিত ২ হাজার ৬২১

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজউকের সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প হচ্ছে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প। পূর্বাচলে সংরক্ষিত কোটায় ১০ শতাংশ প্লট রাখা হয়েছিল। অনেক আগেই সেই কোটা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত অনেককেই বঞ্চিত করা হয়। অথচ রাজউকের বিধিমালা অনুযায়ী, যাদের জমি বা বাড়ি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে তারা আগে অগ্রাধিকার পাবেন। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, আমাদের জায়গায় প্রকল্প করে আমাদেরই রাজউক ঠকাচ্ছে। অথচ প্রভাবশালীদের সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফলে দ্রুত বরাদ্দ বাতিল করে যারা এখনও প্লট বরাদ্দ পায়নি তাদের দেয়া হোক।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচলে মোট প্লটের সংখ্যা ২৬ হাজার ২১৩। এরমধ্যে সংরক্ষিত প্লটের সংখ্যা ২ হাজার ৬২১টি। সংরক্ষিত কোটায় সরকারি প্লট বরাদ্দ দেওয়া অনেক আগ থেকেই চলে আসছে। এ সুবিধার আওতায় মূলত সরকার সমর্থক লোকজনই বেশি থাকে। টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৩ অনুযায়ী এসব প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। আইনটির ১৩/এ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্য, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং যাঁরা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রেখেছেন, তারা প্লট বরাদ্দ পান। রাজউকের একটি সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত পূর্বাচলে সংরক্ষিত ১০০-এর কম খালি প্লট রয়েছে। তবে সংরক্ষিত কোটায় কত প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিংবা বাকি আছে কতটি তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য রাজউকের কাছে না থাকলেও গত পাঁচ বছরে অন্তত ২৯০ জনকে সংরক্ষিত কোটায় প্লট দিয়েছে রাজউক কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য, সাবেক সাংসদ সদস্যদের মধ্যে রাজউকের প্লট বরাদ্দ যারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন ফিরোজা বেগম (সংরক্ষিত নারী আসন), ফাহমী গোলন্দাজ (ময়মনসিংহ), কামরুন নাহার চৌধুরী (সংরক্ষিত), জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ), শাহানারা বেগম (সংরক্ষিত), মো. শফিকুল ইসলাম (নাটোর), এনামুর রহমান (সাভার), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা), টিপু সুলতান (বরিশাল), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), ইখতিকার উদ্দিন তালুকদার (নেত্রকোনা) ও মো. আবুল কালাম (নাটোর)। মো. আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী), সফুরা বেগম (সংরক্ষিত), গোলাম মোস্তফা (নীলফামারী), এইচ এম ইব্রাহিম (নোয়াখালী), শেখ হাফিজুর রহমান (নড়াইল), মো. মনিরুল ইসলাম (যশোর), পীর ফজলুর রহমান (সুনামগঞ্জ), শিবলী সাদিক (দিনাজপুর), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর), মো. আয়েন উদ্দিন (রাজশাহী), মো. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা), আখতার জাহান (সংরক্ষিত), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (কক্সবাজার), পংকজ নাথ (বরিশাল), মো. আমির হোসেন (কুমিল্লা), মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরী (হবিগঞ্জ), কামরুল লায়লা (সংরক্ষিত), ওয়াসিকা আয়শা খান (সংরক্ষিত), খোরশেদ আরা হক (সংরক্ষিত), ফাতেমা জোহরা (সংরক্ষিত), আয়শা ফেরদাউস (হাতিয়া), মো. ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল), ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী), লায়লা আরজুমান (সংরক্ষিত), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ), সৈয়দা সায়রা মহসীন (মৌলভীবাজার), হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ), আবদুর রউফ (কুষ্টিয়া), শাহানারা বেগম (সংরক্ষিত), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ (সাতক্ষীরা), মেরিনা রহমান (সংরক্ষিত), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর), এম এ মালেক (ঢাকা), মো. মকবুল হোসেন (মেহেরপুর), কামরুল আশরাফ খান (নরসিংদী), ফাতেমা তুজ্জহরা (সংরক্ষিত), মো. ইয়াসিন আলী (ঠাকুরগাঁও), আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (সংরক্ষিত), মো. রুহুল আমিন (কুড়িগ্রাম), নুরজাহান বেগম (সংরক্ষিত), সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (মুন্সিগঞ্জ), মো. মামুনুর রশীদ কিরণ (নোয়াখালী), হাজেরা খাতুন (সংরক্ষিত), মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (খুলনা) ও মো. ছলিম উদ্দীন তরফদারও (নওগাঁ) প্লট পেয়েছেন। সাংসদ শ ম রেজাউল করিম (পিরোজপুর), গোলাম সারোয়ার (বরগুনা), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ (সাতক্ষীরা), রহিমা আখতার (সংরক্ষিত), এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান (মেহেরপুর), হোসনে আরা (সংরক্ষিত), খালেদা খানম (সংরক্ষিত) ও জিন্নাতুল বাকিয়া (সংরক্ষিত) লিয়াকত হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), লুৎফুন নেছা (সংরক্ষিত), রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (কুমিল্লা), তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ), এ এম নাঈমুর রহমান (মানিকগঞ্জ), অনুপম শাহজাহান (টাঙ্গাইল), এ কে এম রেজাউল করিম (বগুড়া), মো. আক্কাছ আলী সরকার (কুড়িগ্রাম), গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সিগঞ্জ) ও কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা) রয়েছেন তালিকায়। এ তালিকায় আরও রয়েছেন ঊষাতন তালুকদার (রাঙামাটি), নিজাম উদ্দিন হাজারী (ফেনী), সালাউদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ), মো. সোহরাব উদ্দিন (কিশোরগঞ্জ), শরীফ আহমেদ (ময়মনসিংহ), মো. রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া), সামছুল আলম (জয়পুরহাট), গাজী ম ম আমজাদ হোসেন (সিরাজগঞ্জ), খন্দকার আজিজুল হক (পাবনা), আবু সাঈদ আল মাহমুদ (জয়পুরহাট), আবুল কালাম আজাদ (গাইবান্ধা), আনোয়ারুল আবেদীন খান (ময়মনসিংহ), গোলাম রাব্বানী (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), মো. আনোয়ারুল আজীম (ঝিনাইদহ), মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (চাঁদপুর), মো. আবদুল্লাহ (লক্ষ্মীপুর), ছবি বিশ্বাস (নেত্রকোনা) ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা)। এম এ মান্নান (সুনামগঞ্জ), আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (চট্টগ্রাম), মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী (কুড়িগ্রাম), মো. নুরুল ইসলাম (বগুড়া), আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (রংপুর), মমতাজ বেগম (সংরক্ষিত), উম্মে রাজিয়া (সংরক্ষিত), হেপী বড়াল (সংরক্ষিত), রহিম উল্যাহ (ফেনী), মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মো. শওকত চৌধুরী (নীলফামারী), সেলিম উদ্দিন (সিলেট), রিফাত আমিন (সংরক্ষিত), মাহফুজুর রহমান (চট্টগ্রাম), মনোয়ারা বেগম (সংরক্ষিত), সাইমুম সরওয়ার (কক্সবাজার), দিলারা বেগম (সংরক্ষিত), সেলিনা বেগম (সংরক্ষিত), সেলিনা জাহান (সংরক্ষিত), এম এ আউয়াল (লক্ষ্মীপুর), উম্মে কুলসুম (সংরক্ষিত), আলী আজম (ভোলা), মো. নুরুল ইসলাম (কুমিল্লা), মুহাম্মদ আলতাফ আলী (বগুড়া), রওশন আরা মান্নান (সংরক্ষিত), মোহাম্মদ নোমান (লক্ষ্মীপুর), রোকসানা ইয়াসমিন (সংরক্ষিত), নাভানা আক্তার (সংরক্ষিত), সেলিনা আখতার (সংরক্ষিত), রহিমা আখতার (সংরক্ষিত) এবং মাহজাবিন খালেদও (সংরক্ষিত) প্লট পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন মো. আবদুল মতিন (মৌলভীবাজার), এস এম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা), লুৎফুন নেছা (সংরক্ষিত), মো. নবী নেওয়াজ (ঝিনাইদহ), মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ (জামালপুর), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট), হোসনে আরা বেগম (সংরক্ষিত), জাহান আরা বেগম (সংরক্ষিত), ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী (সিলেট), কাজী রোজী (সংরক্ষিত), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম), এস এম আবুল কালাম আজাদ (ঢাকা), আশেক উল্লাহ (কক্সবাজার), সাবিহা নাহার (সংরক্ষিত), হোসনে আরা লুৎফা (সংরক্ষিত), শামছুন নাহার (সংরক্ষিত), মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার (বগুড়া), মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান (টাঙ্গাইল), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (চট্টগ্রাম) ও শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (বগুড়া) প্লট পাওয়াদের তালিকায় রয়েছেন। সাংসদদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জনসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্লটগুলো বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও দলীয় আনুগত্য ও রাজনৈতিক বিবেচনাই প্রাধান্য পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি অভিনেতা আরেফিন শুভ, প্রযোজক লিটন হায়দার, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং যাঁরা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রেখেছেন তাঁরা প্লট বরাদ্দ পান। ফলে সংরক্ষিত কোটায় যারা প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন তাদের শিগগিরই তালিকা করে তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রাজউক সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে নিবন্ধন হয়নি এমন শতাধিক প্লটের বরাদ্দ বাতিল করবে রাজউক। আর বরাদ্দসংক্রান্ত অনিয়ম থাকায় ২৫ থেকে ৩০টি প্লট বাতিল করবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৫ গাড়িচালকসহ রাজনীতিবিদ, সচিব, বিচারপতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ করা প্লটও রয়েছে। ফলে বিশেষ ব্যবস্থায় প্লট বরাদ্দ নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছেন অনেক প্রভাবশালী। রাজউকের চেয়ারম্যান মে. জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ করছি। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মূলত যেগুলো রেজিস্ট্রেশন হয়নি, রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়েছে, বরাদ্দে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না এমন ব্যাক্তিদের প্লটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে যা বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হবে। 





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]