সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর উল্টে এক বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জাফলংয়ের কালিনগর বাজারের রাস্তার পাশে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবক উপজেলার কালিনগর এলাকার আব্দুস শুকুরের ছেলে মো. আশিক মিয়া (১৮)। সে ওই মাহিন্দ্রা গাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কালিনগর বাজারের রাস্তার পাশে বালু আনলোড করার সময় ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা বাক প্রতিবন্ধী মো. আশিক গাড়ি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গোয়াইনঘাটের তোয়াকুলে ইউএনও'র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ, অর্থদন্ড
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে একটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাল্য বিয়ের ঘটনায় বর ও কনে পক্ষের অভিভাবকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের তুড়ুকভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার (২৫ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিবাহ দেওয়ার খবর পেয়ে রাতে তোয়াকুল ইউনিয়নের তুড়ুকভাগ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম।
ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তোয়াকুল এলাকায় একটি বাড়িতে বাল্যবিবাহ সংগঠিত হয়েছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে গোয়াইনঘাট থানার এসআই মো. নুর মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বাল্যবিবাহের সত্যতা পাওয়ায় ঘটনাস্থলে কনের পিতাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ২০ হাজার ও বর সুফিয়ানকে ১০ হাজার টাকা প্যানেল চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে অর্থদণ্ড প্রদান এবং বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বাল্যবিবাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন, সর্বদা তৎপর রয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলেও জানান ইউএনও ।