ই-পেপার বাংলা কনভার্টার রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
ই-পেপার রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ: পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন ড. ইউনূস       দ্রুত সময়ের মধ্যে গুম খুনের আসামি হাসিনার বিচার করতে হবে : মামুনুল হক      নওগাঁয় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু       কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস      বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়লো ২০২৪      ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান      পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশের লুটকৃত অস্ত্র উদ্ধার      




আইএমএফের শর্ত পূরণ
চলতি বছরেই জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহার
ভোরের ডাক রিপোর্ট
Published : Thursday, 15 February, 2024 at 12:17 PM
দেশের জ্বালানি খাতকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। বিদেশি ঋনের শর্তানুসারে চলতি বছরের মধ্যে জ্বালানি পণ্যের দাম সমন্বয়ে একটি সময়ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করতে হবে সরকারকে। এতে ঋণ কর্মসূচি চলাকালীন দেশে জ্বালানি পণ্যে কাঠামোগত ভর্তুকির পরিমাণ শূন্যে নামবে। সূত্র মতে, বিদেশি ঋণের বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার করতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনার মাধ্যমে সরকারের ব্যয় সক্ষমতা বাড়ানো। এতে প্রতি মাসে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। শুরুতে অল্প অল্প করে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে বলেছেন, আইএমএফের চলমান পরীক্ষায় পাস করলেই কেবল ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, অনগোয়িং টেস্টগুলোতে (চলমান পরীক্ষা) পাস করতে হবে। তাহলে সেটি পাওয়া যাবে। আইএমএফ যে টার্গেট দিয়েছে, আমরা তো ভালো করছি। বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়েছে আমাদের। মার্চ মাসে তারা আবার আসবে এবং দেখবে। এটা তো চলতেই থাকে। আমার তো মনে হচ্ছে; দ্বিতীয় ধাপটাও আমরা মিট করব।

জানা যায়, দেশে জ্বালানির জোগান নিশ্চিত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি একাধিকবার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে। তার মধ্যে বিশ^বাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি, ডলার সংকট, গ্যাস সংকটসহ লোডশেডিং বেশ ভুগিয়েছে। যার রেশ এখনও কাটেনি। নতুন সরকারের শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে; দেশে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং রিজার্ভ সংকট সমাধানে তৎপর হওয়া। একই সঙ্গে সরকারকে ঋণসহ দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধের চাপও সামাল দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিসহ ভোক্তা সাধারণের সামগ্রিক ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন সরকারকে এই চাপও সামাল দিতে হচ্ছে।

এদিকে জ্বালানি পণ্য ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে ধাপে ধাপে দাম সমন্বয় করা হবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বলছে,  ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড় পেতে চলতি বছরে বাংলাদেশকে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড় করার কথা রয়েছে আগামী জুন মাসে। এর আগে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যালোচনা করবে। তৃতীয় কিস্তির জন্য যেসব সংস্কার করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে করছাড় কমানো, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, ভর্তুকি যৌক্তিক করার কৌশল নির্ধারণ এবং খেলাপি ঋণ কমানো। আইএমএফের শর্তানুসারে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জ্বালানি পণ্যের দাম সমন্বয়ে একটি সময় ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করতে হবে সরকারকে। এতে ঋণ কর্মসূচি চলাকালে দেশে জ্বালানি পণ্যে কাঠামোগত ভর্তুকির পরিমাণ শূন্যে নামবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন পরবর্তী অর্থনীতিতে নতুন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ জ্বালানি ব্যবস্থাপনা। গত পাঁচ বছরও এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরও তা করতে হবে। শিগগিরই এই সংকট থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা কম। মূল্যস্ফীতি বেড়ে জনগণের খরচ বাড়ার পরও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। এর বিকল্প নেই। 

শুরুতে এবং দীর্ঘমেয়াদে নতুন সরকারকে তুলনামূলক সাশ্রয়ী উৎস থেকে জ্বালানি আমদানি, রিজার্ভ সংকটের সমাধান, ঋণ, দেশীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ও বিদেশি রপ্তানিকারকদের পাওনা পরিশোধ, জ্বালানি পণ্যের দাম নির্ধারণ কৌশলসহ এ খাতে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনে জোর দিতে হবে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রিজার্ভের চাপ কমাতে এ খাতে সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের বিকল্প নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আইএমএফ যে শর্ত দিয়েছে; বিপিসির দিক থেকে এটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। দর সমন্বয়ের বিষয়টি একটি জটিল প্রক্রিয়া। সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে। আমাদের দিক থেকে এ বিষয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হচ্ছে। 

তবে এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বৈশ্বিক জ্বালানির বিদ্যমান বাজারদরের প্রেক্ষাপটে এটি এখন যুক্তিসংগত হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি। আর জ্বালানি বিভাগ বলছে, বৈশ্বিক সমস্যার কারণে দেশে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তারপরও বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করায় অনেক সংকটের মধ্যেও গত পাঁচ বছর জ্বালানি সরবরাহ প্রায় স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। এবারও সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গ্রাহককে স্বস্তিতে রাখতে এবং তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রত্যাশা পূরণে ডলার সংকট বড় চ্যালেঞ্জ হলেও তা সামাল দিতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তথ্য মতে, প্রতি বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় হচ্ছে গ্রীষ্মকাল, রমজান ও সেচ মৌসুম। এই সময়ে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। চলতি বছর মার্চ মাসে শুরু হবে রমজান ও সেচ মৌসুম। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা গত বছরের চেয়ে এবার দেড় হাজার মেগাওয়াট বৃদ্ধি পাবে। এ সময় সম্ভাব্য ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে গ্যাসের চাহিদা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। 







সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]