ই-পেপার শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম: মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ও ফেসবুক চালুর বিষয়ে যা জানা গেলো       নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৮       আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী       খুলেছে অফিস-আদালত, গণপরিবহন সংকটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি        বান্দরবানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত       লাখাইয়ে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক       ভৈরবে কোটা আন্দোলনকারী ও র‌্যাব-পুলিশের সংঘর্ষ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ       




বেড়েছে ডিম ও পেঁয়াজের দাম, ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই
Published : Friday, 2 February, 2024 at 11:53 AM
রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নতুন করে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে কমছে না। এখনও অনেক পাড়া-মহল্লায় মুড়িকাটার কেজি ১শ’ টাকা। ঢাকার কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০ টাকার আশপাশে। তবে সুযোগ পেলে বাড়তি দাম রাখতেও পিছপা হচ্ছেন না অনেক পাইকার। 
এছাড়া শিম, কপি ও বেগুনসহ শীতকালীন নানা সবজিতে ভরপুর বাজার। অবশ্য দাম দেখে কোনোভাবেই বোঝার কোনো উপায় নেই যে, এটা সবজির মৌসুম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, পেঁপে ও শালগম ছাড়া কোনো সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য দিনে মুলা কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবারের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। সাদা রঙের ডিমের দাম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ডজন। গত সপ্তাহের তুলনায় বাদামি ডিমের দাম ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সাদা রঙের ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে মানভেদে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। এছাড়া, প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাক কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া, লাউ শাক ৫০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতা তানভীর হাসান বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে ডিম কম আসছে। ফলে ডিমের দাম বেড়েছে।

মহাখালী কাঁচাবাজারের পাইকারি ও খুচরা ডিম বিক্রেতা মো. রাজিব মিয়া রাজু বলেন, বাজারে এখন ডিমের সরবরাহ খুব কম। এতে এক সপ্তাহ ধরে ডিমের দাম ধীরে ধীরে বাড়ছে।

তবে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার ও সোনালি উভয় মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৯০ থেকে ২০০। আর গত সপ্তাহে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজির সোনালি মুরগির দাম এই সপ্তাহে নেমে এসেছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দাম চাওয়া হয়েছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রায় অপরিবর্তিত আছে মাছের দাম। মাঝারি আকারের চাষের রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আকারভেদে তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে রাজধানীর শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আমদানিকারক মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজ ঠিকমতো তুলছিলেন না। এতে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়। মূলত এ কারণেই দাম বেড়েছে। বাড়তি দামের আশায় কৃষকরা এখন আবার পেঁয়াজ তুলে বাজারজাত করছেন। এতে দাম কিছুটা কমতির দিকে। সাধারণত বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেই দাম কম থাকে।

মো. আব্দুল মাজেদ আরও বলেন, ভারতে এখন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা। এখন আমদানি করা গেলে দেশের বাজারে ভোক্তারা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পারত। দেশে যেহেতু চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে, তাই এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দেওয়া উচিত। তাহলে বাজারে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা যাবে।

জহিরুল ইসলাম নামের আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, শুক্রবারে ছুটি থাকে, তাই সপ্তাহের বাজারটা এই দিনে করে ফেলার চেষ্টা করি। কিন্তু এখন দেখছি ব্যবসায়ীরাও এই দিনটাকে ঘিরে নতুন করে ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে। আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় সব কিছুর দাম বেশি।

তিনি বলেন, বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই দিন বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির পরিমাণ কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।

বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু দামটা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক একটু বেশি। আবার দাম বেশি হলেও তুলনামূলক চাহিদাও অনেক বেশি। আপনারা বলছেন দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে, যা দেখে অবাক হওয়ার মতো।

তিনি বলেন, শুক্রবারে অধিকাংশ মানুষ সাপ্তাহিক বাজার করে ফেলে। যে কারণে চাহিদা থাকে অনেক বেশি। অন্য দিনগুলোতে সারা দিনে যা বিক্রি করি, শুক্রবার এলে সকালের দিকেই সেই পরিমাণ বিক্রি হয়ে যায়। তবে দামটা যদি আর একটু কম থাকত, তাহলে হয়ত বিক্রেতা আরও বেশি হতো।

বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে সবজি বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বলেন, গত দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেক কৃষকের সবজি নষ্ট হয়েছে, তাই সব সবজির দামটা একটু বেড়ে গেছে। আমরা যে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে বিক্রি করি, বিষয়টা এ রকম নয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে রাখতে হয়।





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]