সুজন দে : কাল জাতীয় পার্টির ৩২তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনির্য়াস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। র্যালিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপক শোডাউন করার প্রস্তুতি নিয়েছে দলের নীতিনির্ধারকরা।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কালকের র্যালি ও আলোচনা সভা ছাড়াও আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে জাপা। মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় দলটির নেতারা।
মহাসমাবেশের আগে কালকের র্যালিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করে ব্যাপক শোডাউনের মধ্য দিয়ে রাজধানী বাসীর নজর কাড়তে চায় জাপা।
আগামীকালের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা যে র্যালি অনুষ্টিত হবে, সে র্যালিতে ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করে গণমিছিলের রুপ দিতে চায় জাপা। এজন্য গত কয়েকদিন ধরে জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা , ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টু দলের বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।
র্যালি সফল করার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনির্য়াস ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রস্ততি সভা করে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি । সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের কো: চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সভায় দলের মহাসচিব এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এই সময় তিনি র্যালিতে ব্যাপক শোডাউনের মধ্য দিয়ে গণমিছিলে রুপ দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। দলের মহাসচিবের এই বক্তব্যের পরপরই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে গণর্যালি সফল করার জন্য জোর প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়। গতকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সকল থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন জাপা মহাসচিব হাওলাদার। কাকরাইলের পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্টিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেলসহ সকল থানা কমিটির নেতারা। এর আগে নিজ নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় পার্টি ও অংগসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্যামপুরে আলাদা বৈঠক করেন আবু হোসেন বাবলা।
কালকের কর্মসূচি সফল করার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির পাশাপাশি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টি। উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এম ফয়সল চিশতি ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টুও উত্তরের সকল থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করেছে।
এছাড়া র্যালিতে ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, কৃষক পার্টি, মহিলা পার্টিও ব্যাপক প্রস্তুুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত কয়েকদিন ধরে সকল অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরামহীনভাবে প্রস্তুতি সভা করেছেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও জাতীয় পার্টির হাজার হাজার নেতাকর্মী র্যালিতে অংশ নিবেন।
এই ব্যাপারে জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি ভোরের ডাককে বলেছেন, জাতীয় পার্টির ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবার সারাদেশেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দপনার মধ্যে নেতাকর্মীরা পালন করবে। কারণ রংপুরের বিপুল ভোটে আমাদের প্রার্থী বিজয়ের পরপরই সারাদেশের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আগের চেয়ে কয়েকগুণ উৎসাহ নিয়ে দলের জন্য কাজ করছে। কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকায় আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় করে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করবো। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদসহ দলের সকল পর্যায়ের সিনিয়র নেতারাও র্যালীতে অংশ নেবেন। তবে র্যালি হলেও আমি আশা করি নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে গণর্যালিতে রুপ নেবে।
এই ব্যাপারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, আমাদের ৩২ তম পার্টির প্রতিষ্ঠা স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় পার্টির সকল স্থরের নেতাকর্মীরা ঢাকায় ব্যাপক শোডাউন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। কালকের র্যালিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা আবারো প্রমাণ করতে চায় জাতীয় পার্টি ও পল্লীবন্ধু এরশাদ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেউ রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না।