প্রকাশ: রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৮:৪৫ পিএম (ভিজিটর : ২৭৯)
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে, বেগম খালেদা জিয়াও যাবেন। কিন্তু ওনারা (আওয়ামী লীগ) যাবে না। কারণ নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, ওনারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসবেন না। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। আমরা নির্বাচনে তো যাবই, দেশনেত্রীও থাকবেন। বরং আওয়ামী লীগই নির্বাচনে থাকবে না। কারণ, তারা ভালো করেই জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের পরিণতি কী হবে? তিনি বলেন, নির্বাচন তো দিতেই হবে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালেই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ২০১৮ সাল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাল। ২০১৮ সাল বিএনপির সাল, ২০১৮ সাল তারেক রহমানের সাল, ২০১৮ সাল এই দেশের গণমানুষের সাল, যারা লড়াই করে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। তারা বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এমন সংসদে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, যেটা জনগণের সংসদ নয়। এখানে ১৪৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট একনায়ক সরকারকে সরাতে না পরলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংগঠন, আন্দোলন এবং নির্বাচনের জন্য এক সঙ্গে প্রস্ততি নিতে হবে। আন্দোলন করেই নির্বাচন আদায় করে ক্ষমতায় যেতে হবে।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং সহ-দফতর সম্পাদক এস কে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেহেদী আহমেদ রুমী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।