বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজপথের সঙ্গী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি। আজ রবিবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের সুযোগ নাই বলে জানিয়েছে দল দুটি।
বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত আছেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু।
অন্যদিকে বিজেপির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন দলের মহাসচিব মতিন সাউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোস্তফা তামজিদ, ওয়াশিকুর রহমান, সালাউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সোহেল আসিফ, এবিএম আজিজুল হক, অ্যাডভোকেট গোলাম রাব্বানী, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল তাহের।
বৈঠক শেষে ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের সুযোগ নাই বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কারের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে তা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হোক।
তিনি বলেন, ঐকমত্যে পৌঁছে সনদ তৈরি করে নির্বাচনের পথে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। বিএনপি বাকশাল চায় না। সবার মতামত থাকবে, ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের সুযোগ নাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষ দেশের মালিকানা ফিরে পেতে চায়। নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে জাতিকে আশ্বস্ত করুন, দেশ গণতন্ত্রের পথে যাচ্ছে।
এদিকে ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের সুযোগ নাই জানিয়ে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, সংস্কারের জন্য নির্বাচনের কালক্ষেপণ ভালো ফল বয়ে আনবে না। কাউকে বাদ দিয়ে সংস্কার নয়। দ্বিমত থাকতেই পারে। তবে ঐকমত্য না হলে সে সংস্কার সম্ভব নয়। একমত যা হবে সেটি সম্পন্ন করে নির্বাচন হতে পারে।
তিনি বলেন, এই সরকার ব্যর্থ হোক চাই না। তবে সংস্কারের জন্য যেন কালক্ষেপণ না হয় সেটিই প্রত্যাশা। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব। অনিশ্চিত অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। নির্বাচন এখন জনগণের দাবি।