চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ছে কনটেইনার জট। ঈদ ও ঈদের ছুটি পরবর্তী সময়ে যাতে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার ধারণক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে সেজন্য ৪গুণ স্টোর রেন্ট আরোপ করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে প্রায় এক মাসের কাছাকাছি সময়ে এসেও চট্টগাম বন্দরের অভ্যন্তরে প্রায় ৪০ হাজার কনটেইনার থাকছে প্রতিদিনই। যা চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতার প্রায় ৭৫ শতাংশ।
তবে অতি সম্প্রতি ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে তাগাদা দেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে যে পরিমাণ কনটেইনার আসা যাওয়া করবে তার জন্য বন্দরের স¤প্রসারণের বিকল্প নেই। এজন্য মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, বে টার্মিনাল ও লালদিয়ায় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ খুব দ্রুত আগানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যে ৪গুণ স্টোর রেন্ট আরোপ করেছিল তাতেও আশানুরূপ কনটেইনার ডেলিভারি বাড়েনি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২৬ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তার পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় কনটেইনার ডেলিভারি হয় ৩ হাজার ২৪ টিইইউস। এছাড়া ২৫ এপ্রিল ৪ হাজার ৮৪৬ টিইইউস, ২৪ এপ্রিল ৪ হাজার ৭৪০ টিইইউস, ২৩ এপ্রিল ৪ হাজার ৮২৫ টিইইউস, ২২ এপ্রিল ৫ হাজার ২২২ টিইইউস, ২১ এপ্রিল ৩ হাজার ৬৫২ টিইইউস, ২০ এপ্রিল ৩ হাজার ৩৮৯ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। অর্থাৎ গত এক সপ্তাহে গড়ে ৪ হাজারের কিছু বেশি কনটেইার ডেলিভারি হয়েছে। এই ডেলিভারিও স্বাভাবিক সময়ের মতই।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২৬ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার ছিল ৩৯ হাজার ৫১৪ টিইইউস। এছাড়া ২৫ এপ্রিল ৩৮ হাজার ৩৮৯ টিইইউস, ২৪ এপ্রিল ৩৯ হাজার ১৬৮ টিইইউস, ২৩ এপ্রিল ৪০ হাজার ১১২ টিইইউস, ২২ এপ্রিল ৪০ হাজার ৮৩৮ টিইইউস, ২১ এপ্রিল ৪০ হাজার ৯৩৯ টিইইউস এবং ২০ এপ্রিল ৩৯ হাজার ৮৯৪ টিইইউস কনটেইনার ছিল।
অর্থাৎ গত এক সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার ছিল ৩৯ হাজার ৮৩৬ টিইইউস। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস। অর্থাৎ গত এক সপ্তাহে গড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ধারণক্ষমতার ৭৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ জায়গাই কনটেইনারে পরিপূর্ণ ছিল।