প্রকাশ: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৪৪ পিএম (ভিজিটর : ৬৬)
নেত্রকোনার পূর্বধলায় সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামীর বাড়ি থেকে মোবারক হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল (২৫ এপ্রিল) শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের বিশমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত মোবারক হোসেন উপজেলার ৭নং আগিয়া ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামের আব্দুল সালাম এর ছেলে ।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোবারক হোসেনের স্ত্রী প্রায় এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাদশা মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাদশার সঙ্গে পালিয়ে ঢাকা চলে যান। স্ত্রীকে ফেরানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মোবারক। স্ত্রী তাকে শর্ত দেন, ছেলের জন্য অটোরিকশা কেনা ও ক্যারিয়ার গড়ার জন্য নগদ অর্থ দিতে হবে। মোবারক গরু, ছাগল ও ধান বিক্রি করে বিভিন্ন সময় প্রায় চার লাখ টাকা জোগাড় করে দেন। তবু ও স্ত্রী আর ফেরেনি।
সম্প্রতি একাধিকবার স্ত্রীর কাছে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন মোবারক। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত তিনি বাসায় ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে বাদশা মিয়া ও তার স্ত্রী খাইরুন্নাহার বিশমপুরের বাড়িতে ফেরেন। শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে খাইরুন্নাহার বাদশা মিয়ার ঘরের আড়ার সঙ্গে মোবারকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ স্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের চাচা আব্দুর রহমান বলেন, "মোবারক খুব সহজ-সরল ছিল। তাদের সংসারে চারটি ছেলে রয়েছে এদের রেখে স্ত্রী খাইরুন্নাহার অন্যজনকে বিয়ে করার পরেও সে স্ত্রীর কথা মত সব করত। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। আমরা মামলা করবো।"
স্থানীয়দের একাংশের ধারণা, স্ত্রীর পরকীয়ার অভিমানে মোবারক আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ নূরুল আলম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।