প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম (ভিজিটর : ১১৪)
দক্ষিণ চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আলী উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনোহর চৌধুরী পাড়ার মৃত এমদাদ আলীর পুত্র।এ ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, গত ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেট ব্যথাসহ বমি হওয়ায় গত ২২ এপ্রিল তাকে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান নাহিদা আক্তার। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদাকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। নাহিদা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। তিনি চিকিৎসকের কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে চিকিৎসক জানান তার মেয়ে গর্ভবতী।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাদী নাহিদা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে আছে। ধর্ষণের শিকার বড় মেয়ের বয়স এখন ১২ বছর। সে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের কেফায়েত উল্লাহ কবির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছাত্রী। গত ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেট ব্যথাসহ বমি শুরু হলে মা নাহিদা আক্তার মেয়েকে এর ব্যথার কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, ভয়ে সে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রেখেছিল।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা নাহিদা আক্তার জানান,আমার মেয়েকে গর্ভপাত করানোর পরে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে জানান তার বাবা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে জানতে চাইলে ও বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে আমি মুঠোফোনে কল দিয়ে আমার ভাই মো. নাজিম উদ্দিনকে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে আসি। তারপর তার সহায়তায় আমার স্বামীকে থানায় এনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। যে মানুষ নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে পারে সে কখনোই আমার স্বামী হতে পারে না। আমি তার কঠোর শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, নিজ কন্যা সন্তানকে ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের মা ও আত্মীয়স্বজন অভিযুক্ত বাবাকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।