আনোয়ারা উপজেলায় ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় ৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল গফুর সওদাগর বাদি হয়ে ছাদেক (৫৩), নুরুল কবির রানা (৩৬), মো. এরশাদ (৩৪), সাহেদ খান রিপন (৩৪), মঈন উদ্দীন (৩২), রফিক (৪০), মিজান (৩৩), জীবন (২৫), আবুল কালাম (৪৫), নুর উদ্দিন বাল্লা (৩৫), মারুফ (২৭), বেলাল (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এদিন মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে মোফাজ্জেল হোসেন জুয়েল, মো. বুরহান উদ্দিন, গাজি মুহাম্মদ ফোরকান, জিয়াউল কাদের জিয়া, রবিউল ইসলাম নয়ন, মো. আরফাতসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
আরেকটি মামলা থানার এসআই জুয়েল মিয়া বাদি হয়ে গাজী মুহাম্মদ ফোরকান, জিয়াউল কাদের জিয়া, রবিউল ইসলাম নয়ন, মোশাররফ হোসেন সোহেল, মো. হোসেন, রাশেদ ইকবাল, ফরহাদ করিমসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১২০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা এবং সহিংসতার মামলা দায়ের করেন। পুলিশের এই অফিসার মোহাম্মদ ফোরকান (৪২), জিয়াউল কাদের জিয়া (৪০) র বিরুদ্ধে অস্ত্র সংরক্ষণের দায়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এসব মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দুধ কমুড়া গ্রামের নুরুল আবছার (৫৫), উত্তর বন্দর এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৩), ডুমুরিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান আরফাত (২৬), পীরখাইন গ্রামের মো. শফিউল আলম (২৬) , ভিংরোল গ্রামের মোহাম্মদ এরফান (৩১), দুধ কুমড়া গ্রামের মো. কাশেম (৪৫), তেকোঠা গ্রামের মোস্তাক আহমেদ।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, আনোয়ারার মধ্যে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাবে তারা যে হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চলবে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বাকী আসামিদের ধরতে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আনোয়ারায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাটিকাটা, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে না আসা পর্যন্ত এদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।