প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:২৫ পিএম (ভিজিটর : ৪১)
নেত্রকোনার মদনে এক বিধবা নারী বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, ক্ষোভে গোয়াল গরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল খালেক নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামে সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) অভিযুক্তকে আসামী করে নেত্রকোনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে, লাকী আক্তার নামের ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বারহাট্রা উপজেলার দেশীউড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন লাকী আক্তার। ২০১৭ সালে তার স্বামী মৃত্যুর বরণ করলে তিন সন্তা নিয়ে বাবার বাড়ি খাগুরিয়া চলে আসেন। সন্তানদের লালন পালন করতে গাজীপুর মাস্টার বাড়ি এলাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরী করেছেন এবং বড় মেয়েকে বিবাহও দিয়ে দেয়।
গার্মেন্টসে চাকুরী করার সুবাধে আটপাড়া উপজেলার আড়াগাঁও গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকেই লাকী আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে ওই চালক। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আব্দুল খালেক লাকী আক্তারকে মোবাইল ফোনে তার বাড়িঘর আগুন দিয়ে জালিয়ে দেবে বলেও হুমকি দেয়। এমন একটি রেকর্ড এ প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে লাকী আক্তারের বাবার বাড়ির গোয়াল ঘরে আব্দুল খালেক আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এতে একটি বাচুরসহ তিনটি গরু মারা গেছে। আরও দুটি গরু গুরুতর রয়েছে। প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে লাকী আক্তারের চাচাতো ভাই রতন মিয়া জানান, আমার বোনের স্বামী মারা গেছে ২০১৭ সালে। তার তিনটি সন্তানও রয়েছে। একটি মেয়ে বিয়েও দিয়েছে। লাকী গার্মেন্টেসে চাকুরী করে। চাকুরী করার সুবাদে সিএনজি চালক খালেক আমার বোনকে আনা নেয়া করত। এ থেকেই তার সাথে পরিচয়। বিয়ের জন্য খালেক আমার বোনকে বিভিন্ন সময় চাপ দিত।
এমনকি বিয়ে না করলে তার ঘর বাড়ি জালিয়ে দেবে বলে মোবাইলে হুমকি দেয়। যা আমাদের মোবাইলে সংরক্ষিত আছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রোববারে আমার বোন বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে খালেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ থেকেই বুঝা গেল আব্দুল খালেক এ কাজ করেছে। এ নিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করব। আমার চাচার প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে খালেকের মোবাইল ফোনে বার বার কল করার পর বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া দেয়া সম্ভব হয়নি।
মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।