ই-পেপার বাংলা কনভার্টার সোমবার ● ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
ই-পেপার সোমবার ● ২১ এপ্রিল ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
নিউ ইয়র্ক থেকে কৌশলী ইমা
প্রকাশ: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম  (ভিজিটর : ৪৬)

বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুর। পাচারের অর্থ ফেরতে ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ব্রিটেনে তারা কাজ করছে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিষয়ে আমরা ল ফার্মকে নিয়োগ করছি। ফার্মগুলোকে আমরা তথ্য দিব। তারা যদি অর্থ আদায় করতে পারে তার নির্দিষ্ট একটা অংশ তাদের দেওয়া হবে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান এ সময়উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আইএমএফের টাকার আমাদের খুব একটা দরকার নেই। তাদের ঋণ ছাড়াও বাংলাদেশ চলতে পারবে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোন মতানৈক্য নেই। আমাদের এখন প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারের মতো রিজার্ভ আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অন্য জায়গায়।

ড. আহসান মনসুর বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আইএমএফ টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পরামর্শ দিচ্ছেন। ব্যাংকগুলো মার্জারের বিষয় তাদের (আইএমএফ) পরামর্শ নিচ্ছি। কারণ এভাবে একসঙ্গে সাত থেকে আটটি ব্যাংক মার্জ করার নজির পৃথিবীতে খুব একটা নেই। এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ লাগবেই। আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রয়েছে। আইএমএফ আমাদের উন্নয়ন সহযোগী পার্টনার। দেশের প্রযুক্তি ও উন্নয়নে তারা জড়িত। ধারাবাহিকতা ও অংশদারিত্বের প্রয়োজনে তাদের অর্থ আমরা নিতে চাই।

রুগ্ন কয়েকটি ব্যাংক প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘সেগুলোকে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে আমরা মার্জ করে দেব। তারপর সেগুলোর মালিকানা আমরা প্রবাসীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি মালিকানার কাছে দেওয়া হবে। তবে মালিকানা হস্তান্তর করার আগে ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। কারণ সেগুলো বন্ধ করার দেওয়ার চেয়ে মার্জ করে চালু রাখলে সরকারের লোকসান কম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাক এটা আমরা চাই না।’ ব্যাংক পরিচালনায় পতিত সরকারের সময়ের মতো রাজনৈতিক চাপের মধ্যে আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘কোনোভাবেই না। ব্যাংকগুলো এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এ সেক্টরে হরিলুটের খেলা বন্ধ হয়েছে। ব্যাংক যাতে কোনো পরিবারের দখলে থাকতে না পারে সে বিষয়ে আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। কোনো রাজনীতিবিদ বা তাদের সন্তানরা শুধুমাত্র  রাজনৈতিক পরিচয়ে ব্যাংকের মালিক হবেন তা আমি গভর্নর থাকা অবস্থায় তা হতে দেব না।

তিনি আরও বলেন, দেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হবে না। অতীতে তা (রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক) করতে গিয়ে ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। ভাই, বোন, স্ত্রী ও নেতাদের ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার সংস্কৃতি আর চালু হতে দেওয়া যাবে না।





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]