কারিগরি সেক্টরে বৈষম্য দূর করা এবং ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে মানববন্ধনে অংশ নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ছয় দফা দাবি আমাদের ন্যায্য দাবি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখনই সময়, দাবি মেনে নেওয়ার।’
তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেবেন। অন্যথায় আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পদে অকারিগরি ব্যক্তিদের নিয়োগ নিষিদ্ধ, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত, টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ও বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় বাতিল করতে হবে এবং বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন করে ২০২১ সালের রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল করে উন্নত বিশ্বের আদলে মানসম্পন্ন চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু ও পর্যায়ক্রমে তা ইংরেজি মাধ্যমে চালুর দাবি।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় নিয়োগ না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করে, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের আইনানুগভাবে নিয়োগ দিতে হবে।
‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন এবং কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি।
টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক পাস শিক্ষার্থীদের শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা।