প্রকাশ: শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৬ পিএম (ভিজিটর : ৯৪)
গত সাড়ে পাঁচ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০টি মাজার, সুফি কবরস্থান এবং দরগাহে ৪৪টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। একই সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) পুলিশের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এর তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের গত ৪ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে ৪০টি মাজার, সুফি কবরস্থান ও দরগাহে ৪৪টি হামলা ও ভাঙচুরের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাজার ও মজারের ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট এবং মাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া।
পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে এই ধরনের সর্বোচ্চ ১৭টি ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ৪৪টি হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি জিডি করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পুলিশের উদ্যোগে মামলা ও জিডিগুলো দায়ের করা হয়।
মামালার পর এ পর্যন্ত মোট ২৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নিয়মিত মামলায় এরইমধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি জিডির তদন্ত চলমান রয়েছে।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব ধরনের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনা এবং জনগণের অংশগ্রহণে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মাজারে হামলার ঘটনায় শূন্য সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) নীতি অনুসরণ করেছে। সব পুলিশ ইউনিটকে কঠোরভাবে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।