ই-পেপার বাংলা কনভার্টার শনিবার ● ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ৫ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার শনিবার ● ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে
আইন হাতে তুলে নেয়া বন্ধ করুন
দারা মাহমুদ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৭ এএম  (ভিজিটর : ৪৬)

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ডেকে এনে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক পুরোনো শিক্ষার্থী শিক্ষককে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। চন্দ্রা মোড় এলাকার বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিজভি আহমেদ সজীব। 

পুলিশ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংবাদিকদের জানান, সকালে বশির উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার কথা বলছিলেন। এ সময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন আহমেদের নেতৃত্বে কিছু যুবদলকর্মী যারা লাঠি-সোঁটা নিয়ে অফিস রুমে ঢুকে পড়ে। তারা সহকারী শিক্ষক বশির উদ্দিনকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় স্কুল ফটকে, সেখানে তাকে মারধর করা হয়, এ সময় প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিজভী আহমেদ সজীব ঠেকাতে এলে তাকেও মারধর করা হয়। সাংবাদিকরা মারধরের কারণ জানতে চাইলে ওই শিক্ষক আওয়ামী লীগ করেন বলে জানানো হয়। কেউ আওয়ামী লীগ করলে এভাবে মারধর করার কোনো আইন দেশে নেই। বড় বড় দলগুলো এ ব্যাপারে কঠোর। অভিযুক্তকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রবণতা থামছেই না। আমাদের মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে।

বাংলাদেশের রাজনীতি পচে দুর্গন্ধের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। বিগত সরকারের লোকেরা এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল যে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছিল। যে কাউকে বিএনপি-জামায়াত ট্যাগ দিয়ে মারলে বা হত্যা করলে সংশ্লিষ্ট দলীয় লোকের পদোন্নতি হতো, পুলিশ পেত পুরস্কার। কিন্তু সেই একই কাজ যদি এখনো হয় তাহলে ছাত্র-জনতা এত বড় বিপ্লব এত আত্মত্যাগ কেন করল। দেশে একটা সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠার জন্যই তো।

শিক্ষক মো. বশির উদ্দিন যদি আওয়ামী লীগ করেন তাহলে তো তিনি অপরাধী নন। যদি তিনি আওয়ামী আমলে কোনো দুর্নীতি চাঁদাবাজি, অন্যকে মারধন বা কোনো রকম অপরাধ করে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই অপরাধী এবং তার শাস্তি পাওয়া উচিত। সেটা সারা দেশে অনেকের শাস্তির প্রক্রিয়া চলছে। অবশ্যই তা প্রচলিত আইনে এবং পুলিশ-আদালতের মাধ্যমে হতে হবে। অবশ্যই কোনো দলের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে নয়। তাহলে স্বৈরাচার আর অন্য দলের পার্থক্য কী থাকল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিপ্লবের সময় থেকেই এসব থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। আরও কড়াভাবে বলেছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কিন্তু তারপরও হচ্ছে। শুধু বহিষ্কার যথেষ্ট হচ্ছে না। দলীয় উদ্যোগে এদের ধরে পুলিশে তুলে দিতে হবে। যাতে দুর্র্বৃত্তদের প্রচলিত আইনে শাস্তি নিশ্চিত হয়। 







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]