প্রকাশ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৭ পিএম (ভিজিটর : ২১৯)
মৃত্যুর ৫মাস ২৭দিন পরে ঢাকার মুগদা থানার মানিকনগর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালাল উদ্দিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
নিহত জালাল উদ্দিন (৩৮) শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার আনু সরকার কান্দির গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোহসন রাড়ী ছেলে। সে ঢাকার মানিকনগরে ব্যবসা করতেন।
২০২৪ সালের ২০ জুলাই ঢাকার মুগদা থানায় মানিকনগর এরাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জালাল উদ্দিন নিহত হয়। এর পরে ঐ বছরের ২০ নভেম্বর মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। সেই পরিপেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সখিপুর আানন্দবাজারস্থ গণকবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়।
মানিকনগর মুগদা থানা এলাকায় স্থানীয় ছাত্ররা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয়। পরে আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়, এবং সংঘর্ষের এক পর্যায়ে জালাল উদ্দিনের মাথায় গুলির বিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।
নিহত জালাল উদ্দিনের পরিবার দাবি করে, এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা ছিল না, বরং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এবং এ বিষয়ে মুগদা থানায় ২০ নভেম্বর একটি মৃত হত্যা মামলা দায়ের করেন মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও ঘটনার পরপরই পরিবার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায়।
লাশ উত্তোলনের জন্য আসা দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশের কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল কাইউম বলেন, ময়না তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করতে আদালত নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় তখন কোন ময়নাতদন্ত করা হয় নাই বিধায় আজ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক জানিয়েছেন, যেহেতু জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার পরে কোন সুরৎ হাল বা ময়নাতদন্ত হয়নি তাই আদালত পুলিশকে "ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করার নির্দেশ দিয়েছে। তাই পুলিশ নতুন তথ্য উদঘাটনের জন্য এই লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠিয়েছে।"