ই-পেপার বাংলা কনভার্টার শনিবার ● ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ৫ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার শনিবার ● ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




ফলপ্রসূ করার উদ্যোগ নিন; বঞ্চিতদের ১০১ দাবির আন্দোলন
দারা মাহমুদ
প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:১০ এএম  (ভিজিটর : ৫৯)

অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ মাসে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকারসহ নানা দাবেিত ১০১ আন্দোলন হয়েছে। একটা সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ দাবি আদায়ের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৬ বছরে নানা বিভাগে বৈষম্য ও বঞ্চনার স্তূপ জমে ছিল। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তা হঠাৎ করে বিস্ফোরিত হয়েছে। দীর্ঘ দেড়দশকে দাবি আদায়ে রাস্তায় নামাদের পছন্দ না হলে লাঠিচার্জ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নির্মমভাবে তা দমন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দমন-পীড়ন নীতি গ্রহণ করেনি, ফলে নির্ভয়ে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করেছে। এমন কি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়েও বিক্ষোভ করেছে সংক্ষুব্ধরা, যা অভূতপূর্ব। রাজনৈতিক সরকার প্রধানদের বাসভবনের ধারেকাছে কোনো আন্দোলনকারী যেতে পারত না। এটাকে আমরা খারাপ মনে করি না। একটা স্বাধীন দেশে নাগরিকরা সরকারের কাছে দাবি জানাবে নির্ভয়ে। কিন্তু দাবিগুলোও যৌক্তিক হতে হবে। রাজধানীর সব সড়কে অটোরিকশা চলতে দিতে হবে, এটা একটা যৌক্তিক দাবি ছিল! অবশ্য ১০১ দাবির সবগুলো এমন তা আমরা বলছি না, তাছাড়া আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী আন্দোলন মানেই সড়ক অবরোধ। তাতে জনভোগান্তি বাড়ে। এমনিতে ঢাকা যানজটের শহর, আন্দোলন হলে তা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সব মিলিয়ে দাবি আদায়ের আন্দোলন কিছুটা অর্থহীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এটাকে অর্থপূর্ণ করতে হবে। সেজন্য সরকারের সদচ্ছিা এবং আন্দোলনকারীদের কার্যকর উদ্যোগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশে নানা ব্যানারে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্দোলন করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দেড়শ দিনে ১০১ দাবিতে আন্দোলন। সরকার কাজ করবে কি করে? ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ৩ দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। রাজকোষ প্রায় শূন্য। আন্দোলনে মৃতদের পরিবারের সাপোর্ট দেয়া আহতদের চিকিৎসা, লুটপাট হয়ে যাওয়া ব্যাংক ঠিক করা এরকম হাজারো চাপ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু। এসব চাপ এখন গেছে তা বলা যাবে না। এর মধ্যে একের পর এক দাবি, যেন আলাদিনের চেরাগ সরকারের হাতে। যা মোটেই নয়।
সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যে সরকার অনেক দাবিই মেনেছে। একটার সমাধান হলে আর এক গ্রুপ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শাহবাগ নয়, আন্দোলন করতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু কেউই তা কানে তুললেন না। যদি সরাকর সোহরাওয়ার্দীতে দাবি গ্রহণের জন্য একটা ক্যাম্প অফিস খোলে এবং ঘোষণা করে রাস্তায় নয়, উদ্যানে গিয়ে দাবি জানালে তা সরকার আমলে নেবে এবং দু এক গ্রুপের দাবি মেনে নেয়, তাহরে হয়তো রাস্তা ছেড়ে দাবি আদায়কারীরা উদ্যানে ঢুকে যাবে। আন্দোলন একটা শৃঙ্খলায় মধ্যে আসবে। ঢাকাবাসী স্বস্তি পাবে। আমরা আশা করব সরকার সেই ব্যবস্থা করবে।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]