বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় আরও চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এই সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীরা হলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে সেট্রাল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার পিএস, এর এপিএস মো. সামসুল হুদা চৌধুরী, ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার দাস ও এস. এম. শামসের জাকারিয়া।
এ নিয়ে মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া। তিনি জানান, এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
চার্জশিটভুক্ত অন্য তিন আসামি মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- তৎকালীন বিএনপি সরকারের আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান।