প্রকাশ: রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৬:৫০ পিএম আপডেট: ০১.০১.২০১৮ ১১:৩২ এএম (ভিজিটর : ২১৬)
গোলাম মোর্ত্তজা মনি যশোর সংবাদদাতা : অতীতের মতো নৌকায় ভোট দিয়ে দেশবাসীকে আবারও সেবা করার সুযোগ চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার বিকেলে যশোর ঈদগাহ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার হারানোর কিছু নেই। চাওয়া-পাওয়াও কিছু নেই। আপনাদের সেবা করতে চাই। এজন্য অতীতের মতো এবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জনসেবা করার সুযোগ দিবেন।
এসময় তিনি যশোরবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নৌকায় ভোট দেবেন, হাত তুলে দেখান। আমরা নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি।
এসময় তিনি তার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে বিএনপি সরকারের শাসনামলের সমালোচনা করে বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খুন, গুম জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বাংলা ভাইয়ের রাজত্ব কায়েম হয়। আমরা উন্নয়ন চাই। বাংলাদেশ হবে সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা। কিন্তু ঘাতকরা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। পচাত্তর পরবর্তীতে জিয়া ক্ষমতা দখল করে। জিয়ার গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীরে পুর্নবাসন আর প্রতি রাতে কারফিউ জারি করে দেশ শাসন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সারাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেয়। ৬৩ জেলার ৫ শ' জন একসঙ্গে জঙ্গি হামলা চালায়। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষ শান্তিতে থাকে।
তিনি বলেন, জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠা করা। যুদ্ধাপরাধীর দায়ে যাদের ফাঁসি হয়েছে সেই জামায়াত নেতা আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তাদের হাতে দেশের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ নিয়ে দেশ পরিচালনা করি। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে। দেশ দরিদ্র্যমুক্ত হবে। এদেশে আর দরিদ্র্য থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবা আজ মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করেছি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি।
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীয়ুষ কান্তি ভট্টাচার্যসহ নেতৃবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। আগমন উপলক্ষ্যে সাজসজ্জায় উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় যশোর। গোটা শহর যেন জনসভার মাঠ।
জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর যশোর ঈদগাহ ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ নির্বাচনী সহিংতার শিকার অভয়নগরের মালোপড়া পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভাষণ দেন। সেটি ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা। এর আগে ২০১০ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উদ্বোধনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।