প্রকাশ: বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ৬:৫২ এএম (ভিজিটর : ৭৮)

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ ঝাপিয়ে পরেছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে। তেমনি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কুন্ডুপাড়া গ্রামের মৃত উসমান আলীর একমাত্র পুত্র আনসার কমান্ডার মৃত শেখ ছমির উদ্দিনও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেণ। তিনি শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। যেহেতু শেখ ছমির উদ্দিন ছিলেন আনসার কমান্ডার অস্ত্র ট্রেনিং দিয়ে তিনিসহ আরো ৩০ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন। কুমারখালীর তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশে কুষ্টিয়া-কুমারখালীসহ একাধিক স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন দিয়ে একজন দক্ষযোদ্ধা হিসাবে প্রস্তুত করেছেন। মৃত শেখ ছমির উদ্দিনকে একজন মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর কারিগরও বলা যেতে পারে। দীর্ঘ রোগশোকের পর গত ১৯৮৯ সালে ১লা ফেব্র“য়ারী মৃত্যুবরণ করেণ। মৃত্যুর পরে রেখে যান স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান। শেখ ছমির উদ্দিন মারা যাওয়ার পরে তার স্ত্রী বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসাবে স্বীকৃতি পেতে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কেহই সেচ্ছায় এগিয়ে আসেনি কি করলে কি হবে কিভাবে এই পরিবারটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কুমারখালী ৪জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম জোয়ার্দ্দার,আঃ আজিজ প্রামানিক,আব্দুল হান্নান,আবুল কালাম,গোলাম কুদ্দুস স্বাক্ষরিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কোন কাজ হয়নি। মৃত শেখ ছমির উদ্দিনের স্ত্রী গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে ইন্তেকাল করেণ। তিনিও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসাবে স্বাকৃতি দেখে যেতে পারেনি। জানিনা তার দুই পুত্র সন্তান দেখে যেতে পারবেন কিনা। তার দুই পুত্রের দাবী আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসাবে স্বীকৃতি। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন বলেন শেখ ছমির উদ্দিন তার আনসার বাহিনী নিয়ে কুমারখালী থেকে কুষ্টিয়াতে পাকিস্থানি বাহিনীর উপর প্রথম আক্রমন করেণ। কুন্ডুপাড়া নিবাসী বাবু অসিত কুমার বলেন পাকিস্থানি বিমানে কুষ্টিয়া ওয়ারলেস টাওয়ার থেকে মৃত শেখ ছমির উদ্দিন হামলা করে যা আমার স্বচোখে দেখা। এব্যাপারে মৃত শেখ ছমির উদ্দিনের পরিবার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গোলাম সরোয়ার, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।