জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক ও অভিবাসন আইনজীবী নিকোল মিচেরনি সম্প্রতি একটি ইমেইল পেয়েছেন, যেখানে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। ১১ এপ্রিল প্রাপ্ত ওই ইমেইলটি পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনস্থ অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
ইমেইলটির শিরোনাম ছিল 'প্যারোলের অবসানের নোটিশ', সেখানে লেখা ছিল: 'এখন আপনার যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার সময় হয়েছে। আপনি যদি অবিলম্বে দেশ না ছাড়েন, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপে আপনাকে অপসারণ করা হতে পারে।'
মিচেরনি এনবিসি বোস্টনকে বলেন, 'প্রথমে ভাবছিলাম এটা হয়তো আমার কোনো ক্লায়েন্টের জন্য পাঠানো হয়েছে, কিন্তু ভালো করে দেখে বুঝলাম, সেখানে কেবল আমার নামই আছে।'
তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত ভুলবশতই এটি আমাকে পাঠানো হয়েছে—আশা করি তাই। কিন্তু ব্যাপারটা বেশ চিন্তার কারণ যে এমন ধরনের ইমেইল মার্কিন নাগরিকদের কাছেও যাচ্ছে।
এ ঘটনাটি এমন সময়ে সামনে এলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের জোরপূর্বক অপসারণের ব্যাপারে আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করেছে। তাদেরকেও যারা বৈধভাবে অবস্থান করছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ নেই।
ট্রাম্প কিছু সময় আগে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্যও করেছেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের—যারা কোনো অপরাধ করেছে (যদিও তা নির্দিষ্ট নয়)—তাদের অপসারণ করে এল সালভাদরে পাঠাতে চান। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেশ থেকে জোরপূর্বক অপসারণ করা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ, বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিএইচএস)-এর এক কর্মকর্তা জানান, মিচেরনি যে সব অভিবাসী ক্লায়েন্টদের জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করেছেন, সেখানে তার নাম ও ইমেইল উল্লেখ থাকায় এমন ভুল হয়ে থাকতে পারে।
কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি)-এর এক কর্মকর্তা বলেন, 'বিদেশিদের পরিচিত ইমেইল ঠিকানায় এই ধরনের নোটিশ পাঠানো হয়। যদি কোনো বিদেশি ব্যক্তি এমন কোনো ইমেইল ঠিকানা দেয়, যা কোনো মার্কিন নাগরিকের, তাহলে তা ভুলভাবে অন্যের কাছে চলে যেতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, “সিবিপি এই ধরনের যোগাযোগ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে বিবেচনা করে সমাধান করবে।'
মিচেরনি বলেন, “আমার মনে হয় এটা একটা ভয়ভীতি দেখানোর কৌশল। তারা চায় মানুষ অভিবাসনকে ভয় পাক।