ই-পেপার বাংলা কনভার্টার রবিবার ● ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ৬ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার রবিবার ● ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




দু-শো বছর পর পুণঃখনন হচ্ছে পেকুয়ার কহল খালী খাল
পেকুয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৫২ পিএম  (ভিজিটর : ৪২)

দীর্ঘ প্রায় দু-শো বছর পর পুনঃখনন করা হচ্ছে কক্সবাজারের পেকুয়ায় কহল খালী খাল। প্রতিনিয়ত ফেলে দেয়া আবর্জনায় খালটি ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। পেকুয়ার উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজার (পেকুয়া বাজার) ঘেঁষে খালটির অবস্থান। পেকুয়া বাজারের পশ্চিম অংশে ভোলা খালে পাউবোর স্লুইচ গেট হয়ে পেকুয়া বাজার ঘেঁষে খালটি নুইন্যামুইন্যা ব্রীজে হয়ে মাতামুহুরূী খালে গিয়ে মিশেছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খালটির প্রায় এক কিলোমিটারের অধিক ভরাট হয়ে গেছে। এ খালটির পুনঃ খননের বিষয়ে স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে  সংবাদকর্মীরা বেশ কয়েকবার সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করেছিল। অবশেষে পুনঃ খননের উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয়রাসহ কৃষকদের মাঝে উচ্ছাস দেখা গেছে। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভূল করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারী পেকুয়া কহল খালী খালের খনন কাজ শুরু হয়েছে। দাতা সংস্থা (ডব্লিওএফও) অর্থায়নে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পেকুয়া বাজার জেনারেল হাসপাতাল থেকে উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স পর্যন্ত ১৮৫০ মিটার খাল খনন করা হচ্ছে। ৯ ফুট গভীরতা খালের খনন কাজে একশতজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। প্রতিজন শ্রমিক পাঁচশত টাকা মজুরিতে পঞ্চাশ দিন খনন কাজ চালিয়ে যাবেন। এনজিও সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) কহল খালী খালের খনন কাজ বাস্তবায়ন করছেন।

এ ব্যাপারে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর প্রকৌশলী হোসনে মুবারক আরমান বলেন,গত ১ জানুয়ারী থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে। দৈনিক একশতজন শ্রমিক কাজে নিয়োজিত আছে। কাজের উপকরণ হিসেবে বিনামূল্যে শ্রমিকদের পোশাক, হাত মৌজা, জুতা, ময়লা টানার হাতল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাজের সময় কোন শ্রমিক আহত হলে আহত শ্রমিকের প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে। 

আরো জানা যায়, কহলখালী খালটি অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রবাহমান খাল। ১৯৩১:সালে বৃটিশ সরকার খালটি খনন করেছিল। এটির অবস্থান এক সময় পেকুয়া বাজার ঘেঁষে ভোলাখালে গিয়ে মিলিত হয়েছে। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে খালটি পেকুয়া বাজারের মাঝামাঝি অংশে। খালের দু পাড়ে গড়ে উঠেছে একাধিক বহুতল বাণিজ্যিক আবাসিক ভবন, শপিংমল ও একাধিক হাসপাতাল। এছাড়া থানা, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যবর্তী খালটির অবস্থান।

স্থানীয় বীরমুক্তির‍্যোদ্ধা ও সদর ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান এড, কামাল হোসেন বলেন, এক সময় কহল খালী খালে প্রবল স্রোত ছিল। জোয়ার-ভাটা এখালে নৌকা সাম্পানে বহন করে সওদা নিত বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিবাসীরা। দীর্ঘ সময়কাল খনন না করায় এটি ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মরাখালে পরিণত হয়েছে। আশা করছি এ খননের ফলে খালটি আগের চেনা যৌবনে ফিরে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি দীর্ঘ সময় যাবত সংষ্কার কিংবা পুনহ খনন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষকদের চাষের সুবিধার্থে এবং পানি নিঃস্কাশনের জন্য এ খালটি পুনঃ খননের উদ্দেশ্যে এনজিও সংস্থা (রিক) এর আর্থিক সহায়তায় এ পুনঃ খননের কাজ চালানো হচ্ছে।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]