ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সাত ও ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার পৃথক দুই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রায় এক দশক আগে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আছাদুজ্জামান মিয়াকে এ রিমান্ড দেয়া হয়।
গতকাল বিকেলে আছাদুজ্জামান মিয়াকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় আছাদুজ্জামান মিয়া এজাহারনামীয় ১২ নম্বর আসামি। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০শে জানুয়ারি খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নুরুজ্জামান জনি নিহত হন। এর প্রায় ১০ বছর পর গত ৩রা সেপ্টেম্বর জনির বাবা ইয়াকুব আলীর করা খিলগাঁও থানার মামলায় সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দীনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকার সাভারে শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাকে এই রিমান্ড দেয়া হয়। ইয়ামিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে হাজারীবাগ থানার অপর মামলায় আট দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর সাভারের ইয়ামিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি চাওয়া হলে আদালত তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন। পরে ইয়ামিন হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা কাফীকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দীনের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২রা সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহহিল কাফীকে আটক করেন ডিবি পুলিশ। পরদিন রাজধানীর হাজারীবাগ থানার অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।