গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক তিন দূর্ধর্ষ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর).রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নয়াগাঁও এলাকার মোসাদ্দেক আলী, একই এলাকার মো: জাকারিয়া ও মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের চরমুক্তারপুর এলাকার জুলহাস দেওয়ান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট বিকেলে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিদ্রোহ করেন। এসময় তারা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হন।
তারা কারাগারের দক্ষিণ অংশের দেয়াল ভেঙ্গে গর্ত করতে থাকলে সেটাও প্রতিহত করা হয়। এক পর্যায়ে কারা অভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক খুঁটিকে মই হিসেবে ব্যবহার করে পশ্চিম পাশের দেয়াল টপকে ২০৩ জন বন্দি পালিয়ে যায়। এসময় কারারক্ষিদের গুলিতে ৬ জন বন্দি মারাও যান।
তিনি জানান, এ ঘটনার পর পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি সহ তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মোসাদ্দেক আলী ও জাকারিয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। অপর আসামি মুন্সিগঞ্জের জুলহাস দেওয়ান নিজের শিশু সন্তানকে হত্যা করে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হন। তার বিরুদ্ধে হত্যা সহ ৫ টি মামলা চলমান রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কারাগারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহ কারাগার থেকে পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সংবাদ সম্নেলনে জানানো হয়।
এছাড়া সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারেও র্যাবের তৎপরতা চলছে বলে জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।