লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় দিশেহারা ঢাকার দোহার উপজেলাবাসী। টানা কয়েকদিন ধরে ব্যাপক পরিমানে লোডশেডিং হচ্ছে এ উপজেলায়। দিন ও রাতের প্রায় অর্ধেক সময়ই থাকছে না বিদ্যুৎ। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। সাথে তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের রোগীরা।
উপজেলার কাটাখালীর বাসিন্দা গৃহিণী পিংকি জানান, বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এই গরমে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় আমার বাচ্চাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। আবার সকালে ঠিকমতো উঠতে না পারায় তাদের স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়।
উপজেলার পালামগঞ্জ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সনজিত সাহা বলেন, একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোনো সময় থাকে না। এক-দেড় ঘণ্টা পর এলেও কিছু সময় পর আবার চলে যায়। এভাবে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকার কারণে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। উপজেলার জয়পাড়া বাজারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী হারুন উর রশীদ বলেন, গরম বাড়ার সাথে সাথে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতো লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের কাজের গতিও কমে গিয়েছে। জেনারেটর থাকলেও তাতে ফ্যানের স্পিড থাকে খুবই কম। বিদ্যুৎ চলে গেলে আর অফিসে বসা যায় না।
কম্পিউটারের দোকানে কর্মরত সুমন জানান, মাঝে মাঝে এমনও হয় এক পৃষ্ঠা টাইপ করার মাঝে দুইবার বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রচুর বিরক্তি আসে তখন। রাইপাড়া স্কলারস স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু কায়সার জুয়েল জানান, প্রচন্ড গরমের মাঝে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি আসলেই খুব খারাপ। লোডশেডিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমরা এ থেকে দ্রæতই মুক্তি চাচ্ছি।
বিদ্যুতের এমন তীব্র লোডশেডিংয়ের বিষয়ে দোহার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. সাদেক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চাহিদার তুলনায় আমরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই এই লোডশেডিং। তবে ঠিক কবে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কমে আসতে পারে, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় বলতে পারেননি।