Published : Wednesday, 14 August, 2024 at 4:25 PM, Update: 14.08.2024 4:35:07 PM
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির গ্রেফতার হয়েছেন। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর তার সাথে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ও এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাদা নেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৩ টার বরগুনা তার নিজ বাসভবন আমতলা পর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দুপুর ২ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনা সদর থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান। তিনি জানান, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম এসে তাকে গ্রেফতার করে। শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা এবং ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে সহ এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাদা নেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল )আ: হালিম বলেন, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম বরগুনায় এসে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেফতার করে সকালে বরগুনা সদর থানায় সোপর্দ করেন। তার বিরুদ্ধে চাদা বাজি সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরতর অভিযোগে তাকে বরগুনা তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশ এর একটি টিম।পরবর্তীতে বুধবার (১৪আগস্ট) বিকাল ৩ টা নাগাদ তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিন মিনিটের ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবীরকে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন। মো. জাহাঙ্গীর কবীর শেখ হাসিনাকে বলেন, আপা আপনি ঘাবড়াবেন না
(মনোবল হারাবেন না)। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কিভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন থাকেন।