দেবহাটার মাঘরী গ্রামের বিএনপি কর্মী রিজুর অত্যাচারে ঘর ছাড়া একটি হিন্দু পরিবার। গত (৫ আগষ্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আনন্দে মেতে ওঠে সর্বস্থরের জনসাধারণ। এই সুযোগে ওই রাতে বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট করে মাঘরী গ্রামের আসমোতুল্লাহ সরদারের ছেলে রেজু সরদারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী। অভিযান চালানো হয় মাঘরী ঘোষপাড়ার ব্রজগোপাল ঘোষের ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ ও মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ (বাবু) এর বাড়িতে।
নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা জানান, বিজয় আনন্দের রাতে রিজু বাহিনী তাদের বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় টাকা ও স্বর্ণলাঙ্কার বের করে দিতে না চাইলে ব্রজগোপাল ঘোষ (৬৫) ও তার স্ত্রী নমিতা রানী ঘোষ (৫৭) কে পিটিয়ে জখম করে। পরে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ১ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা ও সাড়ে ৩ ভরি সমপরিমান স্বর্ণলাঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। এদিকে পরিবারের ওই দুই বৃদ্ধ সদস্য আহত হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনা স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের জানানো হলে পরদিন রাতে পুনরায় ওই বাড়িতে গিয়ে আবারো তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর ও লুট করে রেজু বাহিনী। এরপর প্রতিবাদ করা হলে ওই বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে নামধারী সন্ত্রাসীরা। বর্তমান পরিবারটি ঘর ছাড়া হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। এছাড়া ওই রাতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় ঈদগা বাজারের সঞ্জিত স্টোরে।
বাজারের নৈশ্য প্রহরীকে জিম্মি করে দোকানের তালা কেটে ভিতরে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল, বিভিন্ন কোম্পানির রিসার্স কার্ড, চাউলের বস্তা সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করা হয়। অপরদিকে একই রাতে পাশের গ্রাম চকমোহাম্মাদালীপুর জামে মসজিদের মুসল্লিদের ব্যবহৃত টিউবওয়েল চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন বাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক মটর সহ বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে।
১৪টি ছাগল চুরি করে পালানো কালে দেবহাটায় আটকে দিল জনতা!
আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়ন থেকে ১৪টি ছাগল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুলিয়ায় আটকে দিল জনতা। বুধবার ভোরে ছাগল সহ ৪জন চোরকে কুলিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আটক করা হয়।
এ ঘটনায় আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন আশাশুনি উপজেলায় শোভনালী ইউনিয়নের শরাফপুর গ্রামের বাবর আলী, একই এলাকার মোসলেম সরদারের ছেলে সূর্য সরদার, সাইদুর সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম, মোসলেম সরদারের ছেলে শাকিল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শামিম হোসেন জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সারাদেশ যখন বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র আন্দোলনকারীদের এই বিজয় মেনে নিতে না পেরে কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে চুরি-ডাকাতি, হামলা, ভাংচুর সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিবাগত রাতে শোভনালী ইউনিয়নের সরাফপুর এলাকা থেকে ছাগল চুরি করে জেলার বাহিরের বাজারে বিক্রির জন্য মটরভ্যান করে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় সকাল ৬ টার দিকে ভ্যানটি কুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে সেখানে নিরাপত্তায় দায়িত্বরত জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীরা ভ্যানটি আটকে জিজ্ঞেসা করলে ওই ৪ ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জামায়াত-বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ওই চোর চক্রের সদস্যদের সহ ১৪টা ছাগল আটকে রেখে শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিককে অবহিত করা হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্যকে পাঠিয়ে চোর ও চুরিকৃত ছাগল প্রদান করা হয়।