ই-পেপার বাংলা কনভার্টার রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
ই-পেপার রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ: পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন ড. ইউনূস       দ্রুত সময়ের মধ্যে গুম খুনের আসামি হাসিনার বিচার করতে হবে : মামুনুল হক      নওগাঁয় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু       কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস      বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়লো ২০২৪      ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান      পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশের লুটকৃত অস্ত্র উদ্ধার      




সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বাজার ব্যবস্থার পরিবর্তনের আশা ক্রেতাদের
ইমরুল কাওসরা ইমন
Published : Wednesday, 7 August, 2024 at 12:09 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোনে ছাত্র জনতার বিজয়ে দেশকে ভবিষ্যতে আরো সুশৃঙ্খল এবং দুনীতি ও সিন্ডিকেট মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তারা। বিশেষ করে বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে নতুন করে বাজার ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর দাবী জানিয়েছেন ক্রেতারা। 

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেশ কয়েক জন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীর সাথে কথা হয়। এসময় ওই ব্যবসায়ী এবং ভোক্তা উভয় পক্ষই সিন্ডিকেটের কালো থাবা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আসন্ন নতুন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির ডিম ডরজন ছিল ১৪০ টাকা বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ডরজন প্রতি ১৮০ টাকায়। ২ দিন আগে প্রতিকেজি ২৮০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ভিন্ডি প্রতিকেজি ৪০ টাকা, পোটল প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। তবে বেড়েছে মুশুরের ডালের দাম। প্রতিকেজি ১০৫ টাকায় বিক্রি হওয়া মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা থেকে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ৫২ টাকা দরে বিক্রি হওয়া মোটা চাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই ভাবে দাম বেড়েছে আঁটাশ চালেরও প্রতিকেজি ৫২ টাকা থেকে ৮ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

কাওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা খালেদ বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ এক প্রকার জিম্মি হয়ে ছিলাম। বাজারের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে আমরা দিন দিন নিঃশ্ব হয়ে যাচ্ছি। ছাত্র জনতা অভ্যত্থানের মাধ্যমে যে বিজয় এসেছে তাতে ভবিষ্যতের নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে বাজার ব্যবস্থাপনাকে নতুন করে সাজাতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় থাকে সে দিকে নজর রাখতে হবে।  

ওই বাজারে আসা জাকির মিয়া নামে এক ভোক্তা বলেন, আমরা একবারেই নিঃশ্ব হয়ে গেছি। যে টাকা আয় করি তা দিয়ে কোনো রকমে মাসটা কেটে যায়। সঞ্চয় করার কোনো সুযোগই নেই। পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকতেন। তার কান পর্যন্ত গরীবের আর্তনাদ পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, যারা চেয়ারে বসবেন তাদের উচিত প্রথমেই বাজার ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠুভাবে ঢেলে সাজানো। যেন অবৈধ ব্যবসায়ীরা কাউকে জিম্মি করতে না পারে। যে যেভাবে খুশি পণ্যের দাম হাকাতে না পারে। 

কারওয়ান বাজারের সবজি বাজারে কথা হয় খাইরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, একটি শক্তিশালী বাজার মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। সেই সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ যেন নির্বিঘ্নে হয় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। পুরো সিস্টেমে কোথায় কি সমস্যা রয়েছে সেগুলো খুজে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। 

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা শামীম বলেন, আমরা সব সময়ই আতঙ্কে থাকি। কখন কোন পণ্যের দাম বাড়ে। লোকসান হয় কি না। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের খেয়াল খুশি মতো হুটহাট পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্রেতাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়।







সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]