ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড.আওলাদ হোসেন বলেছেন, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত-শিবির চক্র দেশে সহিংসতা করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, জনগণের সম্পত্তি আগুণ দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ঐ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। এ অপশক্তি পাকিস্তানি দোসরদেরও হার মানিয়েছে তারা।
যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, সাইনবোর্ড সহ ঢাকায় যে তান্ডব করেছে তা পাকিস্তানী সৈন্যদের বরর্বতাকেও হার মানিয়েছে। নারী সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে লাঞ্চনা করেছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীকে হত্যা করে গাছে ঝুুলিয়েছে। একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ব হয়ে ঐ অপশক্তিতে এবার কঠোর ভাবে দমন করতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নিজ নির্বাচনী এলাকা দোলাইরপাড়ে জামায়াত-বিএনপির সহিংসতার প্রতিবোধে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সির কাজী হাবিবুর রহমান হাবুু, ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মাসুদ, ও শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সামিউর রহমান অভি।
সমাবেশে ড. আওলাদ হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলন আমাদের ছাত্রছাত্রীদের দের চাকরির অধিকারের আন্দোলন ছিলো। ২০১৮ সালের আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সরকারি চাকরিতে সকল কোটা বাতিল করে সরকারি পরিপত্র জারি করেছিলো। সেই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেছিল। আমাদের সরকারও হাইকোর্টের সেই রিটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সকল কোটা বাতিল করার জন্য। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে উচ্চ আদালত কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সকল দাবী মেনে নেয়া হয়েছে। তারপরও আজ দেশকে পরিকল্পিত ভাবে অকার্য়কর রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য বিএনপি জামায়াত ছাত্রদের ওপর ভর করে নৈরাজ্য করার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে হবে।