ই-পেপার শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের মামলার রায় ৮ অক্টোবর       ইতালিতে ফ্লাইওভার থেকে বাস ছিটকে পড়ে নিহত ২১       প্রবল বৃষ্টিতে সিকিমে আকস্মিক বন্যা, ২৩ ভারতীয় সেনা নিখোঁজ       জলবায়ু তহবিলে ‌‌`সমানভাবে' অর্থায়ন চাইলেন শেখ হাসিনা        আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম        বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অন্যদল ক্ষমতায় আসলেও বাসন্তীদের ভাগ্যের কোন পররিবর্তন হয়নি: প্রধানমন্ত্রী        দেশকে ধ্বংস করার জন্য দুই-তিনটা রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্র করছে: আইনমন্ত্রী       




বাইডেন-শির বৈঠক কী বার্তা দিল
রায়হান আহমেদ তপাদার
Published : Thursday, 23 November, 2023 at 5:17 PM
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের ভূরাজনৈতিক পটভূমি কতটা বদলে গেছে এবং পরাশক্তিগুলোর পারস্পরিক রশি-টানাটানি কতটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়ামক হয়ে উঠেছে, তা চলমান সংকট, সংঘাত ও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।এই প্রেক্ষাপটে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক বিভেদকে বাড়িয়ে তুলছে। গত বছর 
ওয়াশিংটনে আসিয়ান নেতারা সফরে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তাঁর সফরটি ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত। এতে প্রত্যাশার চাপ থাকলেও সেটি পূরণ হয়নি। বাইডেনের এ সফরে কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত আসেনি।আসিয়ানে- র অর্থনীতিতে বাইডেন ১৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এটা খুব বড় অঙ্কের অর্থায়ন নয়। 

এতে বলা যায়, এশিয়া সফরকে তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এশিয়াকে কম গুরুত্ব দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে। প্রকৃতপক্ষে এশিয়ার ১২টি দেশ বাইডেনের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন অর্থনৈতিক জোট ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) গঠনের প্রস্তাবের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। যদিও এই জোটের ফল কী, কী ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধা সদস্যদেশগুলো পাবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই বলা হয়নি। যাহোক, এরপরও জোট গঠনের প্রস্তাবটি প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি, তবে একটা শিথিলতা এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা, তাতে এ সময় নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি করা কিংবা আগের চুক্তিটাকে পুরোদমে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু এ ঘটনাকে পুরোপুরি খারাপ সংবাদ হিসেবে পাঠ করা ঠিক হবে না। প্রকৃতপক্ষে ১২টি দেশের পৃথক প্রয়োজন বিবেচনায় আইপিইএফের মতো একটি শিথিল চুক্তির প্রস্তাব যথার্থ। 

যেমন, তাইওয়ানের প্রসঙ্গটি ধরা যাক। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে আইপিইএফ জোটে তাইওয়ানকে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানায়নি। চুক্তির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নমনীয়তা থাকায় তাইওয়ানের মতো জটিল ইস্যুটাকে আত্তীকরণ করা সম্ভব হয়েছে। সর্বোপরি, বাইডেনের সে সফর এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বার্তা দিচ্ছে। এর মধ্যে প্রধানটি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এশিয়ার গুরুত্ব রয়েছে। আবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া থেকে সাময়িক সময়ের জন্য ইউরোপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই গুরুত্বটা নিরাপত্তা ও অর্থনীতি দুই ইস্যুতেই বুঝতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আইপিইএফ জোট গঠনের ঘোষণার মধ্যে আর যে বিষয় এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, সেটি হলো কোয়াড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট নয়। এর কারণ হচ্ছে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত প্রতিযোগিতার মধ্যে অর্থনীতি ও নিরাপত্তা-দুটিই ভূরাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বাইডেন যখন নিরাপত্তা থেকে এশিয়ার বাজারের দিকে নজর ঘোরাচ্ছেন, তখন চীন বিপরীত পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তারা অর্থনীতি থেকে নিরাপত্তার দিকে ঝুঁকছে। চীনের মহাপরিকল্পনায় দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক আধিপত্য ছিল কেন্দ্রীয় বিষয়। চীন প্রধানত সারা বিশ্বের কারখানা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছিল। একই সঙ্গে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রধান একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল চীন। কয়েক দশক ধরে চীন তাদের বিশাল অর্থনীতির সুযোগে অনেকগুলো দেশের প্রধান ব্যবসায়ী অংশীদারে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে চীনের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর ক্ষেত্রে, সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী না হয়েও মূল প্রভাব সৃষ্টিকারী হয়ে উঠেছে চীন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সান ফ্রান্সিসকোর বে এরেনায় মিলিত হয়েছেন। 

জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ১৫ই নভেম্বর এই দুই ক্ষমতাশালী প্রেসিডেন্টের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি সাক্ষাৎ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ, তাইওয়ান, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মতো অনেক বিষয়ই উঠে আসবে এ বৈঠকে। এই বছরের শুরুতে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে যে চীন তাদের আকাশে একটা স্পাই বেলুন পাঠিয়েছে। পরে মার্কিন যুদ্ধবিমান সেটি দক্ষিণ ক্যারোলিনার উপকূলে ভূপাতিত করে। এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সেই সময়ের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন, যার জেরে দুই দেশের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় চীন। যুক্তরাষ্ট্রে পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাইডেন এই সম্পর্ক আবার পুনরায় স্থাপনে সংকল্পবদ্ধ, কিন্তু চীনকে খুব একটা আগ্রহী তাতে মনে হচ্ছে না। এখন আর পাঁচ বা ১০ বছর আগের মতো সম্পর্ক নেই, তাই মার্কিনরা কোন দীর্ঘ তালিকা দিতে পারছে না যে অনেক ফলাফল বা বলার মতো কিছু বেরিয়ে আসবে। তবে লক্ষ্য হল প্রতিযোগিতার বিষয়টি সামলানো, কোন সংঘাতের ঝুঁকি যাতে তৈরি না হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া এবং নিশ্চিত করা যেন যোগাযোগটা অব্যাহত থাকে। বাইডেন-শির বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো অপারেশন (অ্যাপেক) সম্মেলনে, যা ১১ই নভেম্বর থেকে ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে বসছে। চীনের দিক থেকে আগ্রহের শীর্ষে থাকবে তাইওয়ান প্রসঙ্গে আলোচনা, যেখানে সামনের বছরের শুরুতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই স্বশাসিত দ্বীপ দেশটিকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। শি হয়তো নিশ্চয়তা চাইবেন যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনভাবেই তাইওয়ানের এই স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন না করে। অন্যদিকে বাইডেন তাইওয়ানের আশেপাশে বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা নিয়ে মার্কিনি উদ্বেগের 
কথা জানিয়েছেন। 

চীনে প্রযুক্তি রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে বেইজিংয়ের আঞ্চলিক দাবি নিয়ে উত্তেজনাও হবে আলোচনার বিষয়। বাণিজ্য এবং প্রতিযোগিতা নিয়ে এই মূল মতবিরোধগুলি ছাড়াও, বাইডেনের জরুরি অনুরোধ থাকবে যাতে চীন তাদের সবরকম প্রভাব খাটিয়ে ইরানকে সতর্ক করে যেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে কোনভাবেই সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ে। বিশ্লেষকদের অনুমান এই বৈঠক থেকে মাঝারি কিছু হয়তো অর্জিত হবে-যেমন দুদেশের সামরিক যোগাযোগ পুন:স্থাপন এবং চীনের তৈরি ফেনটানিলের আসা বন্ধ হবে। কিন্তু কোন পক্ষই এমন কোন অভাবনীয় অগ্রগতির আশা করছে না যা দুদেশের সম্পর্ক নতুন করে শুরু করতে সাহায্য করবে-এটা মূলত স্থিতিশীলতা ও বোঝাপড়া বজায় রাখা। 

সেন্টার ফর দ্য স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জুড ব্ল্যানশেট বলেন, শি এই বিষয়টি গত মার্চে পরিষ্কার করেছেন, যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনকে ঘিরে ফেলা ও দমন করার অভিযোগ আনেন। আর যখন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জি ফেং সম্পর্কের উন্নতির দিকে ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন, একই সাথে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তাও চাইছেন। বেইজিং জানতে চায় যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সিস্টেম বদলাতে চায় না, কোন শীতল যুদ্ধেরও অবতারণা করবে না, তাইওয়ানের স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন করবে না বা চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার কোন লক্ষ্য তাদের নেই, হংকং ফোরামে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। বাইডেন প্রশাসন বলছে যে তারা আক্রমণাত্মক চীনা আচরণকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে যা আন্তর্জাতিক নিয়মনীতিকে লঙ্ঘন করে। বেলুন কাণ্ড ঘিরে উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টাও চোখে পড়ার মতো। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত তারা তিনজন কেবিনেট সদস্যকে বেইজিং পাঠিয়েছে, যার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনও আছেন। 

ব্লিঙ্কেন গত ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠিতব্য সফর হঠাৎ করেই বাতিল করেন এই অভিযোগে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের গুপ্তচর বেলুন উড়ানোর সিদ্ধান্তটা অগ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত জুন মাসে যখন সফরটি অনুষ্ঠিত হয়, তিনি শি’র সাথে খুবই জোরালো আলোচনা হয়েছে বলে বর্ণনা করেন। আর এই সম্মেলন তার সেই কূটনীতিরই ফল। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কূটনীতিকরা প্রায় প্রতিটি আলোচনায় চীনের সাথে সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরুর উপর জোর দিয়েছেন, কিন্তু কোন সাফল্য তাতে আসেনি। ঘুরে ফিরে সেই স্পাই বেলুন প্রসঙ্গ উঠে আসে এবং যোগাযোগ স্থাপনের আলোচনা থমকে যায়, বলেছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা। ঐ বেলুনের অধ্যায়টা সে সময় বেইজিংয়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগে বেশ সমস্যা তৈরি করে। বেশ কিছু মার্কিন গণমাধ্যমের খবর শি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে বৈঠকের পর, সান ফ্রান্সিসকোয় মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দেবেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ৪০ হাজার ইউএস ডলারের বিনিময়ে একজন অতিথি চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে একই টেবিলে বসার সুযোগ পাবেন। আর জনপ্রতি টিকিটের মূল্য শুরু হয়েছে দুই হাজার ডলার থেকে। 

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক বিষয়ক জাতীয় কমিটির একজন মুখপাত্র, যিনি এই নৈশভোজের আয়োজনেও যুক্ত রয়েছেন, তিনি বলেন, চীনের খুবই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে একটা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা আছে, তবে সেখানে শি উপস্থিত থাকবেন কি-না তা নিশ্চিত করেন নি তিনি। শি-বাইডেন বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হি লিফেংয়ের সাথে এক বৈঠকে বসছেন, যেখানে দুদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠক সামনে রেখে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে সংকট দূর করা ও কাটিয়ে ওঠার ভার চাপিয়ে দিয়েছে বাইডেনের উপর।

গ্লোবাল টাইমসের ৮ই নভেম্বরের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ওয়াশিংটনে একটা অপশক্তি আছে যারা যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন চায় না এবং যখনই কোন জটিলতা তৈরি হয় তখনই তারা বেশি কার্যকর ভূমিকা নেয়। গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে এক বছরেরও বেশি সময় পর দুই নেতার আলোচনা হয়। বৈঠকে গাজা ও ইউক্রেনের যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তাইওয়ানসহ বেশ কিছু ইস্যুতে আলোচনা করেন বাইডেন ও শি। এ সময় দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে একমত হন দুই নেতা। দুই দেশের সম্পর্ক দায়িত্ববোধের সাথে পরিচালনা করতে জোর দেন বাইডেন। 

অন্যদিকে, বেইজিং ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অভিহিত করে তা এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এখন থেকে একে অপরের সাথে সরাসরি ফোনে যোগাযোগের পথ সহজ হলো বলে জানান দুই নেতা। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা বন্ধে চীনের সহায়তা চান বাইডেন। আহ্বান করেন ইরানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের প্রভাব ব্যবহার করার। মূলত গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা মোকাবিলায় চীনের দ্বারস্থ হতে একপ্রকার বাধ্য হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, পৃথিবী দুইটি রাষ্ট্রের সফলতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট বড়। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি নিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন,এবং দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কখনোই সংঘাতে রূপ নেওয়া প্রত্যাশিত নয়। পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও জিনপিংয়ের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে বলে জানান বাইডেন। কিন্ত কি এমন সফল কথোপকথন হয়েছে তা সময়ই বলে দেবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]