নওগাঁর বদলগাছীতে বিভিন্ন ফসলে কিটনাশক ব্যবহারের কারণে মাঠ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী পাখি।
একসময় উপজেলার বিভিন্ন পল্লীতে বড় বড় গাছপালায় ও বাসঝাড়ে দেখা যেত পাখি ও বকের বাসার বিচরণ। আর চখে পড়েনা সেই পাখি বাসা ও কিচির মিচির আওয়াজ। গ্রামের পুকুর পারে বাসঝাড় ও বিভিন্ন গাছ পালায় আবাসস্থল বেঁধে প্রজন্নশ হতো অসংখ্য পাখির ছানা। পাখিরা হাল চাষের জমি ও ধান ক্ষেতের পোকা মাকর খেয়ে জীবন ধারণ করতো। সন্ধার আগেই ফিরে আসতো আবাসস্থলে আর কিচির মিচির ডাকে মুখরিত হয়ে উঠত ঐসব এলাকা। গাছের ডালে মাঠে ঘাঠে দেখা যেত হরেক রকম দেশী পাখির বিচরণ।
বর্তমানে আর চখে পড়েনা সুনা যায় না সেইসব পাখির কিচির মিচির ডাক। সরকারের নিদেশে পাখি শিকার বন্ধ হলেও নেই আগের মত বড় বড় ডাগ সহ বিদেশী পাখি। এখন হারিয়ে যেতে বসেছে সেই আগের পাখি ঘুকু,শালিক, বাবুই,টিয়া সহ হরেক রকম পাখি।
এলাকার বয়যষ্ট মুরবিরা বলেন, ফল ফসলে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ ও খাদ্যের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন পাখি। এই পাখি গুলো টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
কোলা ইউপির কৃষক তাইজুল, দেলোয়ার,ছিদ্দিক সহ অনেকে বলেন, ধান সহ সব ধরনের ফুলের ফসলে বিষ বা কীটনাশক না দিলে ফসল করাই সম্ভব নয়। কারণ বিষ না প্রয়োগ না করলে বিভিন্ন রোগ বালাই, পোকা মাকরে ফসল শেষ করে দিবে।
এব্যপারে নওগাঁ জেলা বন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম (রাঙ্গা) বলেন, রক্ষনা বেক্ষনার অভাবে এসব পাখি বিলপ্ত হয়ে যাচ্ছে।